ভিড়ভাট্টা পচ্ছন্দ নয়? চলে যাও শঙ্করপুর। নির্জনতার আরেক নাম শঙ্করপুর। দিঘা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে। শঙ্করপুরের দু’টো চেহারা। একটা নিরিবিলি সৈকত, আরেকটা ব্যস্ততায় সরগরম মৎস্যবন্দর। হরেক কিসিমের ট্রলারের ভিড় সেখানে --- ছোট, মাঝারি, বড়। আছে জেলে নৌকার ভিড়ও। সমুদ্র অভিযানে ধরা পড়ে নানা ধরনের মাছ। সেই মাছ পাইকারদের হাতে যায় এই বন্দরেই। সমুদ্রযাত্রা ও এই বিকিকিনির সুবিধার জন্য ভারতের অন্যতম সামুদ্রিক জেটি তৈরি হয়েছে শঙ্করপুরের মৎস্যপ্রকল্পে। তবে বছরের কিছু সময়ে মৎস্যবন্দরেও ব্যস্ততার ছুটি থাকে। তখন চলে ট্রলার-নৌকা মেরামতির কাজ। ফের সমুদ্র অভিযানের আগে জলযানগুলো নতুন চেহারায় সেজে ওঠে। দিঘা-কলকাতা সড়কে ৮ কিলোমিটার দূরে রামনগর। আরও ১ কিমি এগিয়ে চোদ্দমাইল। সেখান থেকে ডান দিকের পাকা সড়ক, চম্পাখালকে ডান হাতে রেখে। এই চম্পাখাল সেঁধিয়ে গেছে সমুদ্রে। এই পথে ৪ কিমি যেতে শঙ্করপুর। এখান থেকে পথ দু’ভাগ --- ডান দিকের পথে পৌঁছে দেবে মৎস্যবন্দরে, আর বাঁ দিকের পথ নির্জন সৈকতে। এখনও ঝাউবীথির দেখা মেলে শঙ্করপুরে। আছে কেয়া ঝোপও। বালিয়াড়ির ঢাল বেয়ে নেমে যাওয়া যায় প্রশস্ত বিচে। শক্ত মাটির নির্জন বিচ ছোটদের খেলাধুলোর পক্ষে আদর্শ। নীল সমুদ্র হাতছানি দেয়। পায়ে পায়ে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে সমুদ্র অবগাহন করতে, যেটা হয় তো দিঘায় করা হয়ে ওঠেনি। শীতের দিনে সারাটা দিন কাটিয়ে দেওয়া যায় শঙ্করপুর সৈকতে। জমজমাট পারিবারিক পিকনিকের আদর্শ জায়গা শঙ্করপুর। বেলা শেষে সূর্যাস্তর ছবি বুকে নিয়ে ফেরা। দিঘা থেকে গিয়ে সারাটা দিন শঙ্করপুরে কাটিয়ে ফিরে আসা যায় দিঘায়। কিংবা রাত কাটানো যায় শঙ্করপুরেই। আছে বেনফিসের লজ মৎস্যগন্ধা আর জোয়ার। আছে বেশ কিছু বেসরকারি হোটেলও।
তবে সাম্প্রতিক কালে শঙ্করপুরের পর্যটক অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে মত পর্যটন ব্যবসায়ীদের। সরাসরি শঙ্করপুর অবধি গণ পরিবহণ না থাকাই এর কারণ।
সূত্র: পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/29/2020