(জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩)
সন্দীপ রায় বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচলক সত্যজিৎ রায়ের একমাত্র পুত্র। তাঁর মাতার নাম বিজয়া রায়। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা গোয়েন্দা উপন্যাস সিরিজের কাহিনী অবলম্বনে তিনি কয়েকটি সিনেমা তৈরি করেছেন।
তিনি ২২ বছর বয়সে তাঁর চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন শতরঞ্জ কি খিলাড়ি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে। এ ছাড়াও তিনি তাঁর বাবার বিভিন্ন ছবিতে কাজ করেন, এমনকী ফোটোগ্রাফার হিসেবেও। তাঁর প্রথম পরিচালকের কাজ ফটিকচাঁদ ছবিতে। এই ছবি আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পায়। তিনি এক জন ফোটোগ্রাফার হিসেবেও সুখ্যাতি অর্জন করেন। সত্যজিৎ রায়ের শেষ ৩টি চলচ্চিত্রে তিনি ফোটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন। গণশত্রু, শাখাপ্রশাখা এবং আগন্তুক সেই ৩টি ছবি।
তিনি ছোটদের ম্যাগাজিন সন্দেশ-এ প্রকাশক হিসেবে কাজ করেন ও করছেন। এই ম্যাগাজিন প্রকাশ শুরু করেন প্রপিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। এর পর তাঁর পিতামহ সুকুমার রায় ও বাবা সত্যজিৎ রায় এই ম্যাগাজিনের হাল ধরেন। ১৯৯২ সালে বাবার মৃত্যুর পর সন্দীপ রায় যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ২০০৩ সালে হতে বর্তমান পর্যন্ত তিনি এই ম্যাগাজিনের সম্পাদক।
তিনি বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদাকে নিয়ে বেশ কিছু সিনেমা পরিচালনা করেছেন। ২০০৩ সালে তিনি তাঁর বাবার লেখা ১৯৬২ সালে প্রকাশিত বঙ্কুবাবুর বন্ধু গল্পের উপর ভিত্তি করে কাজ করা শুরু করেন। এই টেলিছবি কৌশিক সেন পরিচালনা করেন। এই ছবি ২০০৬ সালে টিভিতে দেখানো হয়। তিনি তাঁর নিজের লেখা কাহিনি হিটলিস্ট-এর উপর ভিত্তি করে ২০০৯ সালে সিনেমা নির্মাণ করেন। বর্তমানে তিনি তারিনীখুড়োর উপর সিনেমা বানানোর কাজ করছেন। তারিনীখুড়ো সত্যজিৎ রায়ের লেখা এক জনপ্রিয় চরিত্র। ২১শে ডিসেম্বর, ২০১২তে তাঁর নির্মিত যেখানে ভূতের ভয় মুক্তি পায়। এতে রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের লেখা ২টি গল্প: অনাথবাবুর ভয়, ব্রাউন সাহেবের বাড়ি ও শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের লেখা ১টি গল্প: ভূত-ভবিষ্যত। ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছে তাঁর পরিচালিত ফেলুদার গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র বাদশাহি আংটি।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/29/2020