‘গাজন’ শব্দের উৎপত্তি সম্পর্কে বলা হয় গর্জন থেকেই গাজনের জন্ম।
কোচবিহার রাসমেলা এই বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মেলাগুলির অন্যতম এবং জনপ্রিয়। এই মেলা উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর পূর্ব ভারতের সব থেকে বড় মেলা। এই মেলার জন্য কোচবিহারবাসী অন্তর থেকে গর্ব অনুভব করেন, অপেক্ষা করেন বছরভর। এটি কোচবিহারের প্রধান উৎসব।
বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম দিনটি উৎসবমুখর বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। নতুন পোশাক, হালখাতা প্রভৃতির পাশাপাশি এ সময় মেলাও বসে বসে রাজ্যের নানা প্রান্তে। গোবরডাঙার গোষ্ঠবিহার মেলা তেমনই এক মেলা।
গঙ্গাবোধে অজয় নদে পুণ্যস্নানের মতোই মকর সংক্রান্তিতে পূণ্য স্নান হয় উত্তরবঙ্গের তিস্তাতেও।
মালদা জেলার উত্তর সীমান্তের একটা অংশ অনেকটা উটের কুঁজের মতো হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে ঢুকে গিয়েছে
মালদা জেলার গাজোল থানার অন্তর্গত পান্ডুয়া গ্রামটি মালদা শহর থেকে প্রায় ১৭/১৮ কিলোমিটার দূরে মালদা হয়ে রায়গঞ্জগামী ৩৮ নং জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত। আজকের এই গ্রাম পান্ডুয়ার ইতিহাস অতি প্রাচীন। হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান ধর্ম ও সংস্কৃতিতে লালিত পালিত এক প্রাচীন জনপদ।
কলকাতাকে মেলার শহর বললে অত্যুক্তি হয় না। বইমেলা, হস্তমেলা, বাণিজ্যমেলা ও আরও নানা মেলায় সে এক হট্টমেলার শহর।
ভারতবর্ষের মানুষের সঙ্গে খ্রিস্ট ধর্মের পরিচয় পাঁচ-ছশো বছর আগে, ভাস্কো ডা গামার ভারতে আসার মধ্য দিয়ে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমার অন্তর্গত সাগরদ্বীপ দ্বীপ হলেও যথেষ্ট বড়।
গ্রামীণ মেলার কথা উঠলেই আজ বাঙালির চোখে যে ছবি ভেসে ওঠে তা হল রথের মেলা।
বাংলা সাহিত্যে মাহেশের রথের উল্লেখ গুনে শেষ করা যাবে না।
হাজারদুয়ারি বলুন কিংবা লালবাগ। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা। আর সেই গঙ্গার দু’পাশে হাজার হাজার লোকের উল্লাসের মাঝে গঙ্গা দিয়ে বয়ে চলে আলোর ভেলা ‘বেরা’।
সম্ভবত ১৫১৫ সালের জুন মাসে শ্রীচৈতন্য গৌড়ের রামকেলি গ্রামে আসেন। গৌড়ের সুলতান হুসেন শাহের মন্ত্রী সাকর মল্লিক ও প্রধান মুনশি দবীর খাস বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হন। পরবর্তী কালে এর দু’জন রূপ গোস্বামী ও সনাতন গোস্বামী নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।
যে মেলার কথা না বললে বাংলার মেলা সম্পূর্ণতা পায় না, তা হল শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা। শুধুমাত্র বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত বলেই নয় বরং সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথের বাইরে সমাজ সংস্কারক রবীন্দ্রনাথের যে পরিচয়, তা এখানে বিশেষভাবে অনুভূত হয়।