তপেন চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৭ - ২৪ মে, ২০১০) বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি সত্যজিত রায়ের অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, বিশেষত গুপী গাইন বাঘা বাইন-এর (১৯৬৮) গুপী গাইন চরিত্রে এবং পরবর্তী সিকোয়েলে হীরক রাজার দেশে (১৯৮০) এবং গুপী বাঘা ফিরে এলো (১৯৯১)। চ্যাটার্জি ৭২ বছর বয়সে ২৪ মে, ২০১০ মারা যান। তিনি ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন।
তপেন চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, কালীঘাটের মাইশোর রোডের বাড়িতে। নলিনীরঞ্জন ও শোভনাদেবীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে তপেন ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁরা তিন ভাই ও দুই বোন। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক তপেন চট্টোপাধ্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা রাজেন্দ্র বিদ্যাভবনে। ছোট থেকেই অভিনয়ের দিকে ঝোঁক ছিল। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তপেন প্রথম মঞ্চে পা দিলেন, নাটকের নাম ‘অচলায়তন’। ছোট্ট চরিত্র হলেও দর্শকের মনে দাগ কেটে গিয়েছিল তাঁর অভিনয়।
শীতকালে বা পুজোর সময় সেই নাটকের জন্যই ডাক পড়ত তপেনের। পরে শেখর চট্টোপাধ্যায়ের গ্রুপ থিয়েটারে যোগ দিয়েছিলেন।
অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার তপেন চট্টোপাধ্যায় খুব কম বয়সে এক সময়ে রাজস্থানের বিকানেরে চাকরি করতেন। সেখানকার জিপসাম মাইনস-এ রোজ দু’ টাকা দু’ আনা পারিশ্রমিক মিলত। বছর দুই চাকরি করার পর অতঃপর কলকাতায় ফিরলেন তিনি। এসে যোগ দিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটকের দলে।
পরবর্তীতে সত্যজিত রায় কর্তৃক পুনরুজ্জীবিত বাংলা পত্রিকা ‘সন্দেশ’-এ যোগদান করেন। তিনি শিশুতোষ পত্রিকা সন্দেশের বিজ্ঞাপন বিভাগ তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। সত্যজিত রায় তাঁকে মহানগর চলচ্চিত্র অভিনয় করান এবং তারপর গুপী গাইন বাঘা বাইন চলচ্চিত্রে গুপী গাইন চরিত্রে। ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’ গানটির জন্য তিনি এবং রবি ঘোষ বাঙালি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয় স্পর্শ হয়ে থাকবেন।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/27/2020