ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ আদালত হল সুপ্রিম কোর্ট, আর রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে হলে সুপ্রিম কোর্টে করতে হয়। যে সব ট্রাইব্যুনাল সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারে রয়েছে তাদের আবেদনগুলিও সুপ্রিম কোর্টে আসে। রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে বা দু’টি রাজ্যের মধ্যে বিবাদ ঘটলে, তা সুপ্রিম কোর্টেই ফয়সলা হয়। এ ছাড়া নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নানা আদেশ জারি করতে পারে। রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ও অন্য বিচারপতিদের নিয়োগ করেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ৬৫ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। তার আগে কোনও অপরাধের জন্য তাঁদের পদ থেকে অপসারণ করাতে হলে লোকসভা ও রাজ্যসভা, দুয়েরই অনুমোদন লাগে।
রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের নীচে থাকে নিম্ন আদালতগুলি। হাইকোর্টের কাজ হল নিম্ন আদালতের আবেদনগুলি শুনে তার বিহিত করা। হাইকোর্টের এক্তিয়ারে যে সব ট্রাইব্যুনাল থাকে তাদের আবেদন শোনাও হাইকোর্টের কাজ। হাইকোর্টের বিচারপতিদেরও নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। এই নিয়োগের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপালের পরামর্শ (এবং প্রধান বিচারপতির, অন্যান্য বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে) নেন। হাইকোর্টের সব বিচারপতিকেই ৬২ বছর বয়সে অবসর নিতে হয়। হাইকোর্টের কোনও বিচারপতিকে পদ থেকে অপসারণ করতে হলে লোকসভা ও রাজ্যসভার অনুমোদন দরকার হয়।
রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলি দু’টি বিভাগে বিভক্ত: একটি ফৌজদারি আদালত বা ক্রিমিন্যাল কোর্ট, অন্যটি দেওয়ানি আদালত বা সিভিল কোর্ট।
ক্রিমিন্যাল বা ফৌজদারি আদালতের সর্বনিম্নে হল ম্যাজিস্ট্রেটের (প্রথম শ্রেণি বা দ্বিতীয় শ্রেণির) আদালত। তার ওপরের আদালত হল সেশান জজের আদালত। ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের আবেদনগুলি যায় সেশান জজের কোর্টে। আর সেশান জজের বিরুদ্ধে আবেদন করতে হলে হাইকোর্টে যেতে হয়।
সিভিল কোর্টের নিম্নতম আদালত হল মুন্সেফ-এর আদালত। মুন্সেফ-এর আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে হলে সাব-জজের আদালতে যেতে হয়। সাব-জজের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে হলে যেতে হয় জেলা আদালত বা ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে। জেলা আদালতের আবেদন যায় হাইকোর্টে, হাইকোর্টের আবেদন যায় সুপ্রিম কোর্টে। সাধারণত কোনও মামলায় দু’ বার আবেদন করা যায়। প্রথম বার আইন ও বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে, দ্বিতীয় বার শুধু আইনের ভিত্তিতে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/14/2020