এই সময়ের মধ্যে ওষুধবিজ্ঞানও প্রভৃতি উন্নতি করেছে। বহু প্রাণঘাতী রোগের আশ্চর্য সব ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে। অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে পেটের রোগ বা উদরাময়ের রোগীদের বাঁচানোর জন্য মুখে লবণ-চিনির জল ‘ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপি (Oral rehydration Therapy) বা ‘ওআরএস’ খাওয়ানোর অতি সরল কিন্তু যুগান্তকারী চিকিৎসার কথা – যা লক্ষ লক্ষ শিশু ও বয়স্ক মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এই পদ্ধতির জনক ডাঃ দিলীপ মহলানবিশ।
অসংখ্য নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক, নানা দীর্ঘকালীন বা ক্রনিক রোগের প্রাণদায়ী ওষুধ মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে ছিনিয়ে এনেছে, কষ্ট লাঘব করেছে, দীর্ঘ জীবন দিয়েছে। তবে চিন্তার বিষয় হল আমাদের দেশে ওষুধের দাম ক্রমশই ঊর্ধ্বগামী হয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও মানুষ অর্থের অভাবে মারা পড়ছেন নিরাময়যোগ্য নানা রোগেও।
অঙ্গ প্রতিস্থাপন চিকিৎসা বিজ্ঞানের আর এক বিপুল সম্ভাবনার দিক খুলে দিয়েছে। বৃক্ক, অস্থি, অস্থিমজ্জা, যকৃৎ, অন্ত্র, এমনকী হৃদপিণ্ডও প্রতিস্থাপন হচ্ছে। নতুন জীবন দিচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই জয়যাত্রা কি আমাদের দেশে সাধারণ ও গরিব মানুষের ঘরের দরজায় এসে পোঁছেছে ? সাধারণ মানুষ কি যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন ? সেই চিকিৎসা কি তাঁর সাধ্যের মধ্যে ? সব প্রয়োজনীয় ওষুধ কি সাধারণ মানুষের কেনার ক্ষমতার মধ্যে ? দেশে চিকিৎসার হালহকিকত এ রকম হাজারো প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে আমাদের।
সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/12/2020