অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

এক্স-রে কেলাস-বিজ্ঞান, মিয়োগ্লোবিন

এক্স-রে কেলাস-বিজ্ঞান, মিয়োগ্লোবিন

আবিষ্কার : ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দ

বিজ্ঞানী : জে ডি বার্নাল ও ডরোথি ক্রোফোর্ড, মাক্স পেরুৎজ, জে সি কেন্ড্রু ও অন্যরা

এক্স রে

১৮৯৫ সালে উহলহেলোম রন্টজেন এক্সরে আবিষ্কার করেন। এক্সরে একটি তাড়িৎ চৌম্বক বিকিরণ। এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য টেন ইনভার্স টেন মিটার যা সাধারণ আলোর তুলনায় অনেক কম। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম থাকার কারনে যে কোনো পদার্থকে খুব সহজেই ভেদ করতে পারে অর্থাৎ এর ভেদন ক্ষমতা বেশি। এটি একটি অদৃশ্য রশ্মি। এক্স টিউবে এক্সরে তৈরি হয়। বায়ুশূন্য কাঁচনলের দুই প্রান্তে দুটি ইলেক্ট্রোড (একটি ক্যাথোড অপরটি অ্যানোড) ব্যবহার করে ক্যাথোড প্রান্তে টাংস্টেন এর তৈরি ফিলামেন্ট পেঁচিয়ে তাতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে তা সহজেই উত্তপ্ত হয়ে যায়। অ্যানোড প্রান্তের সাথে ক্যাথোড প্রান্তের উচ্চ বিভব পার্থক্য থাকায় ( ক্যাথোড প্রান্ত উত্তপ্ত হওয়ায়) ক্যাথোড প্রান্তের ইলেক্ট্রন গুলো মুক্ত হয়ে অনেক গতি নিয়ে অ্যানোডকে আঘাত করে। পরবর্তীতে ইলেক্ট্রনের গতি থেমে যায় তথা এই গতিশক্তি তাড়িৎচৌম্বক তরঙ্গে রূপান্তিত হয়। এভাবে এক্সরে বা অজানা রশ্মি তৈরি হয়।

মিয়োগ্লোবিন

কী ভাবে একটি প্রোটিন তার স্বতন্ত্র জৈবিক ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তা জানতে তার ত্রিমাত্রিক গঠনবিন্যাস জানা একান্ত দরকার। ১৯৩৪ সালে জে ডি বার্নাল এবং ডরোথি হজকিন (তখন ডরোথি ক্রোফোর্ড) দেখালেন যে প্রোটিন কেলাসিত অবস্থায় রঞ্জন রশ্মিকে ডিফ্র্যাক্ট করলে একটা জটিল নকশা পাওয়া যায়। তাঁরা বুঝেছিলেন যে, এই নকশাগুলির মধ্যে প্রোটিনের গঠনবিন্যাসের সমস্ত তথ্য আছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় সে সময়ে তথ্যগুলির রহস্যভেদ করা যায়নি।

বিভিন্ন গুরু-ধাতু সম্বলিত কেলাসের প্যাটার্ন তুলনা করে এই ধাঁধা সমাধানের জন্য মাক্স পেরুৎজ এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি পদ্ধতি বের করলেন। ১৯৫৮ সালে জে সি কেন্ড্রু ও অন্যরা প্রোটিনের প্রথম ত্রি-মাত্রিক চিত্র উত্‍‌পাদন করতে সক্ষম হলেন – মিয়োগ্লোবিন নামক প্রোটিন যা পেশিগুলি ব্যবহার করে অক্সিজেন সঞ্চয়ের জন্য ।

সূত্র : বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিদ্যা ও ব্যাক্তিত্ব : ডঃ শঙ্কর সেনগুপ্ত, বেস্টবুকস

সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate