আবিষ্কার : ১৮৬৬-১৯০৫, ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ
বিজ্ঞানী : গ্রেগর মেন্ডেল, থিওডর সাটন, টমাস মর্গান
গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল একজন অস্ট্রিয়ার ধর্মযাজক ছিলেন। তিনি তার গির্জার বাগানে মটরশুঁটি উদ্ভিদ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে, বংশগতির দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রকাশ করেন, যা এখনো যথাযথ আছে। তাকে বংশগতিবিদ্যার জনক বলা হয়।
১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দ সুপ্রজনন-বিদ্যার (জেনেটিকস) ভিত্তিস্বরূপ প্রাথমিক ও মূল সূত্রগুলি মটরশুটির উপর পরীক্ষার ফলাবিষ্কৃত হয়। গ্রেগর মেন্ডেলের এই আবিষ্কার নিয়ে সেই সময় কোনও গঠনমূলক আলোচনা হয়নি, খুব কমই প্রভাব ফেলেছিল এই অনুশীলন।
মেন্ডেল বিভিন্ন জাতের কড়াইশুটি নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন। বেঁটে জাতের কড়াইশুটির সঙ্গে লম্বা জাতের মিলন ঘটানো হল - লম্বা জাতের ফুলে রেণু লাগিয়ে দিলেন বেঁটে জাতের কড়াইশুটি লতার গর্ভকেশরে। এই ফুলের বীজ আলাদা করে রেখে পরের বছর ওজন করা হল। দেখা গেল সব জাতের চারাই লম্বা হয়েছে। এর বীজ থেকে পরের বছরের চারায় দেখা গেল তিন ভাগ হয়েছে লম্বা, বাকি এক ভাগ বেঁটে। চতুর্থ বত্সরে বেঁটে গাছের বীজ থেকে কেবল বেঁটে, আর লম্বা গাছের বীজ থেকে তিন ভাগ লম্বা ও এক ভাগ বেঁটে গাছ জন্মাল। এই পরীক্ষা থেকে মেন্ডেল ধারণা দিলেন, জীবের দৈহিক ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য কতকগুলি গুণ অবশ্যই প্রয়োজন, আর তার প্রত্যেকটি গুণ পরিস্ফুট করার জন্য জননকোষের কোনও সূক্ষ্ম অংশই দায়ী। আর প্রাণীদেহের মতো উদ্ভিদেও একই ঘটনা ঘটে।
তিনি জীববিজ্ঞানের একটি পদ্ধতি নাম মায়োসিস নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখলেন যে, ক্রোমোজমগুলি স্বতন্ত্র ভাবে জোড়ায় পর্যবসিত হয়। তিনি সিদ্ধান্তে এলেন জোড়া ক্রোমোজমগুলিই হল উত্তরাধিকারের এক একটি ইউনিট।
এই সিদ্ধান্ত যে সকলেই গ্রহণ করলেন, তা নয়। ১৯০২-০৩-এ থিওডর সাটন ক্রোমোজম তত্ত্বকে বিশেষ রূপ দিলেন এবং ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ টমাস মর্গান ড্রুসোফিল মাছির দেহে বংশগত নানা পরিবর্তনের উপর সাটনের সিদ্ধান্তকে প্রমাণ করেন।
সূত্র : বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিদ্যা ও ব্যাক্তিত্ব : ডঃ শঙ্কর সেনগুপ্ত, বেস্টবুকস
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/21/2019