মার্চ মাসের রাতে আমরা আকাশ জুড়ে হ্যাকুতাকের আলোর অসাধারণ দৃশ্য দেখতে পেলাম। গোটা পৃথিবীর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই ধূমকেতুকে নিরীক্ষণ করতে থাকেন। তাদের দেখা সার্থক হয়। ধূমকেতুর অভ্যন্তরস্থ এই বরফের নিউক্লিয়াসটিকে পৃথিবী থেকে প্রথম দেখা যায় হাবল স্পেস দূরবীক্ষণ দিয়ে। (এর দৈর্ঘ্য মাত্র ২ কিলোমিটার) সেই প্রথম কোনও ধূমকেতুকে হালকা এক্স রশ্মি বিকিরণ করতে দেখা যায়, কারণ হ্যাকুতাকে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূর দিয়ে যাচ্ছিল। এক্স রশ্মির দূরবীক্ষণ দিয়েই এই ধূমকেতুকে প্রথম দেখা যায়। অন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধূমকেতুর বিচ্ছুরণ দেখতে ব্যস্ত ছিলেন। এই নিরীক্ষণ থেকে ধূমকেতুর ভেতরে থাকা উপাদানগুলি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় (যন্তর মন্তর, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর, ১৯৯৫)। মাইকেল মুম্মা এবং মাইকেল ডি স্যান্টি ধূমকেতুর মধ্যে মিথেন খুঁজে পান, যা ধূমকেতুর মধ্যেকার বরফের ১ শতাংশ গঠন করেছে। তখন পর্যন্ত মিথেন কেবলমাত্র গ্রহ (যেমন, শনি) এবং তার উপগ্রহতেই(যেমন, টাইটান) পাওয়া গিয়েছে। আবিষ্কারে খুশি হয়ে, এর পর মুম্মা এবং স্যান্টি আরও গভীর ভাবে ধূমকেতুর বিচ্ছুরণগুলিকে নিরীক্ষণ করতে থাকেন। তাঁরা সেখানে ইথেন খুঁজে পান, যা তার আগে মহাকাশে দেখা যায়নি। ইথেন ধূমকেতুর বরফের আরও ১ শতাংশ গঠন করেছে। বিচ্ছুরণ রেখায় তাদের আবারও দেখা যায়। কে জানে, তারা হয়তো ন্যাপথালিনের মতো কিছুও পেতে পারতেন।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/24/2019