মনে করো, অনেক বছর পর কোনও এক সময়, অন্য কোনও নক্ষত্রের সঙ্গে যুক্ত কোনও গ্রহতে আমরা উপনিবেশ স্থাপন করতে চাইলাম। আমাদের সৌরজগতের সবচয়ে কাছাকাছি নক্ষত্রটি চার আলোকবর্ষেরও দূরে রয়েছে। সুতরাং সেখানে যেতেই আমাদের চার আলোকবর্ষেরও বেশি সময় লাগবে। আরও দূরের নক্ষত্রের ক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের অনেকগুলি প্রজন্মকে মহাকাশযানের মধ্যেই জন্মাতে ও বড় হতে হবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই এমন স্থানে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার উপযু্ক্ত ভাবে মানবদেহ তৈরি নয়। মাধ্যাকর্ষণ সহ পৃথিবীর বৈশিষ্ট্যগুলির কাছাকাছি পরিস্থিতি আমাদের তৈরি করে নিতে হবে। কোনও মাহাকাশযান g ত্বরণে চললেই এটা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে যানের সামনেটা ঊর্ধ্বমুখী এবং পিছনটা নিম্নমুখী থাকবে। কোনও বস্তুকে যদি ওপর থেকে নীচে (যানের ভিতর থেকে যেমন দেখায়) ফেলা হয়, তা হলে সেটা পৃথিবীর মতই ১ g ত্বরণে পড়বে। সে ক্ষেত্রে তুমি একটা কৃত্রিম জলাশয়ও বানাতে পারো, যেখানে জল মাটির সঙ্গে জুড়ে থাকবে, ওপরে উঠে যাবে না (তার ওপর তুমি নৌকাও চালাতে পারবে)।
যাত্রার অর্ধেক সম্পূর্ণ করে, যখন তুমি প্রায় আলোর কাছাকাছি বেগে যাচ্ছ, তখন তুমি মহাকাশযানটিকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে নিলেই ভালো করবে, যাতে যেখান থেকে আগুন বেরোচ্ছে সেই অংশটা ওপরের দিকে চলে যায়। এতে তোমার গতি কিছুটা কমবে, তাতে তুমি আলোর গতিতে নক্ষত্রে গিয়ে পড়বে না। তার চেয়েও বড় কথা, এখন তোমার ত্বরণের অভিমুখ পাল্টে গেছে, পাল্টে গেছে যানের মাধ্যাকর্ষের দিকও। কিন্তু তোমার যানের অভিমুখও পাল্টে গেছে, ফলে তোমার ভূমি ভূমিতেই থাকবে আর ‘আকাশ’, ‘আকাশে’ই।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2019