যে হেতু ইলেকট্রন প্রোটন ও নিউট্রনের তুলনায় খুবই হালকা তাই পরমাণুর ভর প্রোটন ও নিউট্রনের ভরের ওপরই নির্ভর করে। যদি কোনও পরমাণুতে ক সংখ্যক নিউক্লিয়ন থাকে, তা হলে সেই পরমাণুর ভর হবে ক একক পরিমাণ। যদি আমরা খুব বড় এবং ভারী নিউক্লিয়াস পরীক্ষা করি তা হলে দেখব, প্রোটনের বিপুল বিকর্ষণ ঠেকাতে অনেক নিউট্রনের প্রয়োজন হচ্ছে। ভারী নিউক্লিয়াসে প্রোটনের তুলনায় নিউট্রনের সংখ্যা বেশি। পরমাণু বোমা বা পরমাণু চুল্লির কার্য প্রক্রিয়া বুঝতে এই সাধারণ তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধরো, একটি টেবিলে এক পাত্র জল আছে। পাত্রের ধারগুলো পাঁচিলের কাজ করছে, যে জন্য জল পড়তে পারছে না। যদি পাত্রটিকে ঝাঁকানো হয়, তা হলে কিছু পরিমাণ জল উপচে পড়বে। ঝাঁকানোর জন্য কিছু পরিমাণ শক্তি পাত্রে দেওয়া হল। সেই শক্তির অংশ পাত্রের জলে যু্ক্ত হল। অধিক শক্তি যুক্ত জল পাত্রের পাঁচিলের বাধা পেরিয়ে বাইরে উপচে পড়ল।
বাধা পেরোতেই এই জল নিজের শক্তির সমান মানের অভিকর্ষজ টানের বশবর্তী হয়ে বাইরে পড়ে যায়। আমরা প্রোটন ও নিউট্রনকেও জলের মতো ভাবতে পারি, যা পাত্রের (নিউক্লিয়াস) মধ্যে রয়েছে। তলপৃষ্ঠের টান যেমন জলকে ধরে রাখে, তেমনই বলশালী নিউক্লিয়ার শক্তি প্রোটন ও নিউট্রনকে ছাউনিযুক্ত নিউক্লিয়াসের মধ্যে ধরে রাখে। নিউক্লিয়াসের এই প্রাথমিক স্তরের মডেলটি বিজ্ঞানী নিলস বোরের আবিষ্কার। পাত্রের দেওয়ালের মতো নিউক্লিয়াসের আচ্ছাদনটি কী দিয়ে তৈরি ? নিউক্লিয়নের মধ্যকার শক্তির বিনিময়ের মধ্য দিয়ে একটি শক্তির দেওয়াল তৈরি হয়। একে বলে বন্ধন শক্তি।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019