নিউক্লিয়ার বিস্ফোরকগুলির নকশা এমন ভাবে তৈরি হয় যাতে শৃঙ্খল প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা না হয়। নিরাপত্তার জন্য জ্বালানি খুব ছোট পাত্রের মধ্যে রাখা হয় যাতে অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন থেকে উৎপন্ন নিউট্রন হারিয়ে না যায় এবং অন্য নিউকিলিয়াস দ্বারা শোষিত না হয়। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য বিশুদ্ধ 235U ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় প্লুটোনিয়াম নামে (239Pu) আরেকটি তেজস্ক্রিয় নিউক্লিয়াসও ব্যবহার করা হয়।
নিউক্লিয়ার জ্বালানিকে ঘিরে থাকে রাসায়নিক বিস্ফোরক। যখন এটা জ্বালানো হয়, তখন সেটা বিস্ফোরিত হয়ে নিউক্লিয়ার জ্বালানিকে এক সঙ্গে ভেতর দিকে নিয়ে আসে। জ্বালানির পাত্রগুলি এক জায়গায় এলে একটি বিশেষ ভরের সৃষ্টি হয়। তার পর একটি শৃঙ্খল বিক্রিয়া শুরু হয়। প্রতি বিভাজনে উৎপাদিত নিউট্রনের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করার বদলে সংখ্যাটা অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বাড়তে দেওয়া হয়। যখন প্রায় ১০ লক্ষ কোটি নিউট্রন উৎপাদিত হয়ে যায়, তখন প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছয় এবং জ্বালানি নিজেই বিস্ফোরিত হয়।
প্রথম রাসায়নিক বিস্ফোরকটি জ্বালানোর অর্ধেক মাইক্রোসেকেন্ডের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটে। নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছনোর পর ১ মাইক্রো সেকেন্ডের ৫০ ভাগের এক ভাগ সময়ে যাবতীয় বিভাজনের উপাদানটি ভেঙে যায়। বিস্ফোরণ ঘটে, শক্তির বিশাল আগুনের গোলা তৈরি হয় এবং নিউক্লিয়ার টুকরোগুলো ছড়িয়ে পড়ে। জ্বালানি ছড়িয়ে পড়ায় শৃঙ্খল বিক্রিয়া থেমে যায়। অর্থাৎ পরমাণু বোমার যাবতীয় শক্তি সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ে নির্গত হয়। কিন্তু যে ক্ষতি সাধিত হয়, তার ফলাফল থাকে দীর্ঘ দীর্ঘ সময় জুড়ে। সেটা আলাদা কাহিনি।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/1/2019