আমরা দেখেছি ভারী নিউক্লিয়াসের বিভাজনের সময় শক্তি উৎপন্ন হয়। যখন এই শক্তি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে উৎপাদিত হয়, তখন তা নিউক্লিয়ার চুল্লিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে শক্তি উৎপাদন করে থাকে। যখন প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে চালিত হয়, তখন পরমাণু বোমা তৈরি হয়।
আমরা জানি কোনও পরমাণুতে খ সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে, তখন তাতে খ সংখ্যকই প্রোটন থাকে। তখন তাতে অন্তত খ সংখ্যক নিউট্রন থাকে। নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ শক্তি শক্তিশালী রাখার জন্য সেখানে অন্তত প্রোটনের সম পরিমাণে নিউট্রন থাকবে। ভারী পরমাণুতে প্রোটনে প্রোটনে বিকর্ষণের মানের সঙ্গে ভারসাম্য রাখার জন্য অনেক বেশি সংখ্যায় নিউট্রন থাকে।
তাই বড় নিউক্লিয়াস কখনওই সমান মাপে ভাঙে না। যে হেতু হাল্কা নিউক্লিয়াসে কম অনুপাতে নিউট্রন থাকে, তাই কিছু নিউট্রন সহজেই স্বাধীন ভাবে বেরিয়ে যায়। বাকি নিউট্রনগুলো বিভাজন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিউক্লিয়ার বিভাজন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত সবচেয়ে চেনা মৌলটির নাম ইউরেনিয়াম। এর নিউক্লিয়নের সংখ্যা ২৩৫। একে আমরা ২৩৫U বলি। একে তেজস্ক্রিয় বলা হয় অর্থাৎ খুব দ্রুত এর ক্ষয় হয় (অর্থাৎ এটি খুব একটা স্থায়ী নয়)।
বাকিটা একই রকম, টেবিলের ওপর রাখা জলের পাত্রের মতো।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/23/2020