এখানে কিছু ভুল ধারণার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপের সার্ন (CERN বা European Organization for Nuclear Research) গবেষণাগারে এক বিরাট পরীক্ষা চলছে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার নামক এক যন্ত্রে।
আইনস্টাইন তাঁর সমীকরণে জোর করে একটি অতিরিক্ত রাশি যোগ করলেন যাতে কেবল স্থির মহাবিশ্বের ধারণাটাই পাওয়া যায়। এই অতিরিক্ত রাশিটিকে বা মহাজাগতিক ধ্রুবক বলা হয়।
এত কিছু জিনিস সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করলেও ‘‘বিগ ব্যাং’’ মডেলটি কিন্তু আদৌ সম্পূর্ণ নয়।
আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টির গল্প নয়, বরং এর বিবর্তনের ইতিহাস।
এডুইন হাব্ল পরীক্ষা করে দেখলেন একটা ছায়াপথ আমাদের থেকে যত বেশি দূরে, তার সরে যাওয়ার গতিবেগও ততই বেশি। তার মানে আমাদের মহাবিশ্ব প্রকৃতপক্ষেই সম্প্রসারিত হচ্ছে।
বিগ ব্যাং’ মডেলটি দাঁড়িয়ে আছে পদার্থবিদ্যার দু’টি মূল স্তম্ভের ওপর। একটি হলো আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ ও অন্যটি হলো সৃষ্টিতত্ত্বের নীতি।
তরান্বিত গতিতে ‘স্পেস’-এর অতিদ্রুত সম্প্রসারণ চলছিল এবং এই সম্প্রসারণের ফলেই অতি উচ্চ-শক্তির কণা ও প্রতিকণার সৃষ্টি হতে শুরু করে বিশ্ব সৃষ্টির ঐ আদি অবস্থাতে।
‘বিগ ব্যাং’-এর প্রথম ধাপে কেবল মাত্র হাল্কা মৌলেরই আধিক্য ছিল এবং সমস্ত ভারী মৌল সংশ্লেষ হয়েছে অনেক পরে।
‘বিগ ব্যাং’-এর সপক্ষে আরো প্রমাণ হল কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন।