অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

‘বিগ ব্যাং’-এর সপক্ষে আরো প্রমাণ

‘বিগ ব্যাং’-এর সপক্ষে আরো প্রমাণ

যদিও নিউক্লিওসিন্থেসিসের সময় বিভিন্ন হালকা পরমাণু কেন্দ্রক তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরমাণু বলতে আমরা যা বুঝি তার অস্তিত্ব ছিল না। মহাবিশ্ব পূর্ণ ছিল মুক্ত পরমাণু কেন্দ্রক, ইলেকট্রন ও ফোটন কণার ভিড়ে। এই রকম একটা ভিড়-ভাট্টার দশায় আলো অর্থাৎ ফোটন কণার পক্ষেও স্বাধীন ভাবে চলা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল, কারণ একটু এগোতে না এগোতেই অতি উচ্চশক্তির এই ফোটন কণা ধাক্কা মেরে বিক্ষিপ্ত হচ্ছিল পরমাণু কেন্দ্রকগুলি থেকে। এর ফলে, যখনই কোনও পরমাণু কেন্দ্রক কোনও ইলেকট্রনের সঙ্গে জোড় বেঁধে পরমাণু গঠনের চেষ্টা করছিল, ঐ উচ্চশক্তির ফোটন কণা ধাক্কা মেরে ভেঙে দিচ্ছিল সেই বন্ধনের চেষ্টা। আলোর পক্ষেও যে হেতু সম্ভব ছিল না ও রকম ঘন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা, তাই সেই মুহূর্তে আমাদের মহাবিশ্ব ছিল কুয়াশা-ঢাকা অস্বচ্ছ এক বিশ্ব। কিন্তু আশার কথা এই যে মহাবিশ্ব ঠান্ডা হচ্ছিল দ্রুত। ‘বিগ ব্যাং’-এর প্রায় ৩,০০,০০০ বছর পর, এর তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৩০০০কে। এই অবস্থায় ফোটনের শক্তি আর আগের মতো ছিল না যে তা পরমাণু তৈরিতে বাধা দিতে পারে। কাজেই পরমাণু তৈরি হতে থাকল। এই ঘটনাকে বলা হয় রিকম্বিনেশন এবং যে হেতু পরমাণুরা আধানহীন ও একটি পরমাণু কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট শক্তির ফোটনের সঙ্গেই মিথষ্ক্রিয়া করতে পারে, তাই বেশির ভাগ ফোটনই তখন অনেক বেশি দূর অবধি ছুটতে পারল, কারণ তখন তার অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে গেল। যে হেতু আলোই পারে সমস্ত অস্বচ্ছতা কাটাতে, তাই আমাদের মহাবিশ্ব ক্রমশ অস্বচ্ছ থেকে স্বচ্ছ হয়ে উঠতে শুরু করল। সেই সময়ের ঐ সব ফোটনকণা আজও রয়ে গেছে আমাদের মহাবিশ্বে, সর্বত্র, সমান ভাবে। কিন্তু যে হেতু সেই সময় থেকে শুরু করে আজ অবধি মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হয়েছে অনেকটাই, তাই এই সমস্ত ফোটন কণার তরঙ্গদৈর্ঘ্য‌ও বিস্তৃত হয়েছে অনেকখানি, যার কারণ আমরা আগেই ব্যাখ্যা করেছি হাব্‌লের সূত্র আলোচনার সময়। এই সমস্ত ফোটনের তরঙ্গদৈর্ঘ্য‌ তড়িৎ-চুম্বকীয় বর্ণালীর মাইক্রোওয়েভ অঞ্চলে হয় আর তাই এ রকম নামকরণ। ১৯৪৮ সালে গ্যামো, আলফার ও হারমান এই বিকিরণের কথা বললেও এর পর্যবেক্ষণগত প্রমাণ মিলেছিল অনেক পরে, ১৯৬৫ সাল নাগাদ। আরনো পেনজিয়াস ও রবার্ট উইলসন নামে দুই ইঞ্জিনিয়ার আকস্মিক ভাবেই এর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন একটা অন্য‌ বিষয়ে কাজ করার সময়। বর্তমান বিশ্বে এই বিকিরণের তাপমাত্রা খুবই কম, মাত্র ২,৭২৫ কে। এবং এই তাপমাত্রা সর্বত্র সমান।

সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার

সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/7/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate