প্রফুল্লচন্দ্র রায় যিনি পি সি রায় নামেও পরিচিত (আগস্ট ২, ১৮৬১ - জুন ১৬, ১৯৪৪) এক জন প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, বিজ্ঞানশিক্ষক, দার্শনিক, কবি। তিনি বেঙ্গল কেমিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্কিউরাস নাইট্রাইট-এর আবিষ্কারক। দেশি শিল্পায়নের প্রবক্তা। তাঁর জন্ম অবিভক্ত বাংলার খুলনা জেলায় (বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত)।
আর্যভট্ট (৪৭৬ খ্রিস্টাব্দ – ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ) প্রাচীন ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গণিতবিদদের মধ্যে এক জন। তাঁর নামে ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম ‘আর্যভট্ট’ রাখা হয়।
স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী (১৯ ডিসেম্বর, ১৮৭৩ - ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬) এক জন খ্যাতনামা চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক ছিলেন। তিনি কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কার করেছিলেন ।
ওবেইদ সিদ্দিকির কাজের সূত্র ধরেই নোবেল প্রাইজ পান অনেক বিজ্ঞানী, হরগোবিন্দ খোরানা-ও তাঁদের এক জন !
কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৭৭ - ১৯২৯) ব্রিটিশ ভারতের এক জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও স্যার রোনাল্ড রস-এর সহ-গবেষক ছিলেন। রোনাল্ড রস ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী হিসাবে অ্যানোফিলিস মশাকে চিহ্নিত করে ১৯০২ সালে নোবেল পুরস্কার পান। কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯০৩ সালে সম্রাট সপ্তম এডোয়ার্ডের স্বর্ণপদক দ্বারা পুরস্কৃত করা হয়।
তাঁর লেখা না পড়ে, না বুঝে, না জেনে, বাংলায় বিজ্ঞান প্রচার আসলে বর্ণমালা না শিখে মহাভারত পাঠের চেষ্টার মতোই হাস্যকর।
স্যার জগদীশচন্দ্র বসু (নভেম্বর ৩০, ১৮৫৮ – নভেম্বর ২৩, ১৯৩৭) এক জন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের এক জন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। তাঁর গবেষণা উদ্ভিদবিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে তোলে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা করে।
জয়ন্ত বিষ্ণু নারলিকর (জন্ম ১৯ জুলাই ১৯৩৮ - ) এক জন ভারতীয় মরাঠি জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী। বেনারস হিন্দু ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে কর্মরত এই বিজ্ঞানী স্থিতাবস্থা তত্ত্বের অন্যতম প্রবক্তা।
আজ মেডিক্যাল কলেজ কত উন্নত হয়েছে, দেশ এগিয়েছে, কিন্তু ভারতীয় সার্জারির ইতিহাসের দ্বার খুলে দেওয়ার এই পথপ্রদর্শকের কথা কি সে ভাবে মনে রেখেছি আমরা ?
বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু ও বিজ্ঞানী প্রফুল্লচন্দ্রের সার্থক উত্তরসূরি প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী প্রশান্তচন্দ্র মহালনবীশ।
বরাহমিহির প্রাচীন ভারতের গুপ্ত সাম্রাজ্যের সমসাময়িক (আনুমানিক ৫০৫ খ্রিস্টাব্দ - ৫৮৭ খ্রিস্টাব্দ) এক জন বিখ্যাত দার্শনিক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও কবি।
দক্ষিণ ভারতের বিজ্জবিড় নামে এক নগরে বাস করতেন ভাস্করাচার্য। অঙ্ক এবং জ্যোতিষ দু’টি বিষয়েই ছিল তাঁর অসাধারণ পাণ্ডিত্য।
মেঘনাদ সাহা এফআরএস (অক্টোবর ৬, ১৮৯৩ – ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯৫৬) ছিলেন একজন জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী যিনি পদার্থবিজ্ঞানে থার্মাল আয়নাইজেসন তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিখ্যাত। তাঁর আবিষ্কৃত সাহা আয়োনাইজেসন সমীকরণ নক্ষত্রের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মাবলি ব্যাখ্যায় ব্যবহৃত হয়।
রাধাগোবিন্দ চন্দ্র (১৬ জুলাই ১৮৭৮, বাগচর গ্রাম, যশোর -- ৩ এপ্রিল ১৯৭৫, দুর্গাপল্লি, বারাসাত) ভারত উপমহাদেশের সফলতম জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এক জন। তিনি পর্যবেক্ষণমূলক জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তার জন্ম তৎকালীন ভারতবর্ষের পূর্ববঙ্গে তথা বর্তমান বাংলাদেশে।
পদ্মভূষণ আচার্য কারিয়ামানিক্যম শ্রীনিবাস কৃষ্ণণ (কে এস কৃষ্ণণ নামেই বেশি পরিচিত), ফেলো অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি এক জন ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী।
শ্রীনিবাস রামানুজন (ডিসেম্বর ২২, ১৮৮৭ – এপ্রিল ২৬, ১৯২০) অসামান্য প্রতিভাবান এক জন ভারতীয় গণিতবিদ। খুব অল্প সময় বাঁচলেও তিনি গণিতে সুদূরপ্রসারী অবদান রেখে গেছেন।
সত্যেন্দ্রনাথ বসু (১ জানুয়ারি ১৮৯৪ – ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪) ছিলেন এক জন পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র ছিল গাণিতিক পদার্থবিদ্যা।
পাখিমানব হিসেবে খ্যাত সলিম আলির জন্ম ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ নভেম্বর মুম্বইয়ে। ভারতে তিনিই প্রথম পাখির ওপর নিয়মতান্ত্রিক জরিপ পরিচালনা করেন।
সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর (১৯ অক্টোবর, ১৯১০ - ২১ আগস্ট, ১৯৯৫) ভারতে জন্মগ্রহণকারী এক জন মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী। তিনি এক তামিল পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে তারার বিবর্তন এবং জীবনচক্র সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য তাঁকে উইলিয়াম আলফ্রেড ফাউলারের সঙ্গে যৌথ ভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। তারার বিবর্তন বিষয়ে তাঁর আবিষ্কৃত বিষয়টির নাম চন্দ্রশেখর সীমা।
ভারতীয় উপমহাদেশের যে কোনও বিজ্ঞান-শিক্ষার্থীই স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরমন বা সি ভি রমনের নাম শুনেছেন। তাঁর আবিষ্কৃত ‘রমন এফেক্ট বা ‘রমন-প্রভাব’ পদার্থবিজ্ঞানের জগতে এক আশ্চর্য মাইলফলক হয়ে আছে ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে – যে দিন এই আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল।
অধুনা পাকিস্তানের অন্তর্গত পঞ্জাবের ছোট্ট গ্রাম রায়পুর। বাসিন্দা মোটে ১০০ ঘর। কোনও বাড়িরই অবস্থা তেমন স্বচ্ছল নয়। সেই গ্রামেরই কৃষি-ট্যাক্স আদায়কারী এক করনিক কিন্তু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তাঁর সন্তানদের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে।
ভারতীয়দের কাছে অতি গর্বের এক নাম হল হোমি ভাবা। সাধারণ ভাবে হোমি ভাবার পরিচয় হল তিনি এক জন পরমাণু বিজ্ঞানী।