অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

কুম্ভমেলা

কুম্ভমেলা

কুম্ভমেলা একটি হিন্দু উৎসব। এই উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা তীর্থস্নান করতে আসেন। বিশ্বের বৃহত্তম শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হিসাবে ইলাহাবাদ পূর্ণকুম্ভে ২০১৩ সালে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ এসেছিলেন। প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও এলাহাবাদে অর্ধকুম্ভ মেলা বসে। প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জ্বয়িনী ও নাসিকে পূর্ণকুম্ভ আয়োজিত হয়। হিসাব করলে দেখা যায় প্রতি তিন বছর অন্তর চার জায়গার কোথাও না কোথাও কুম্ভমেলা বসছে, তা সে পূর্ণই হোক বা অর্ধ। বারোটি পূর্ণকুম্ভ অর্থাৎ প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর প্রয়াগে আয়োজিত হয় মহাকুম্ভ। কুম্ভমেলা চারটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে আয়োজিত হয়। এই চারটি স্থান নির্বাচিত হয় বৃহস্পতি ও সূর্যের অবস্থান অনুসারে। বৃহস্পতি ও সূর্য সিংহ রাশিতে অবস্থান করলে নাসিকের ত্র্যম্বকেশ্বরে; সূর্য মেষ রাশিতে অবস্থান করলে হরিদ্বারে; বৃহস্পতি বৃষ রাশিতে এবং সূর্য কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করলে প্রয়াগে; এবং সূর্য বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করলে উজ্জয়িনীতে মেলা আয়োজিত হয়। সূর্য, চন্দ্র ও বৃহস্পতির রাশিগত অবস্থান অনুযায়ী মেলা আয়োজনের তিথি (তারিখ) নির্ধারিত হয়। কুম্ভমেলা নদী কেন্দ্রিক। প্রতি মেলাস্থলের সঙ্গে এক বা একাধিক নদী জড়িয়ে আছে। কারণ বিশেষ বিশেষ তিথিতে পুণ্যস্নানই হল কুম্ভমেলার প্রধান অঙ্গ। ইলাহাবাদে মেলা বসে গঙ্গা-যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সঙ্গমে। আর হরিদ্বারে বইছে গঙ্গা, উজ্জয়িনীতে শিপ্রা এবং নাসিকে গোদাবরী। গোদাবরী তীরে নাসিকে পুণ্যস্নান দু’ জায়গায় হয়। বৈষ্ণবরা স্নান করেন নাসিকের রামকুণ্ডতে আর শৈবরা স্নান করেন নাসিক থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ত্র্যম্বকেশ্বরে। ১৮৩৮ সালে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক হিংসার ফলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হিন্দু পুরাণে বলা আছে, সমুদ্র মন্থন করে অমৃত কুম্ভের হাঁড়ি পাওয়ার পর দেবতারা যখন সেই হাঁড়ি নিয়ে পালাচ্ছিলেন, তখন হাঁড়ি থেকে কয়েক ফোঁটা অমৃত পড়েছিল যে চার জায়গায়, সেখানেই বসে কুম্ভমেলা।

প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও এলাহাবাদে অর্ধকুম্ভ মেলা বসে। প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জ্বয়িনী ও নাসিকে পূর্ণকুম্ভ আয়োজিত হয়। হিসাব করলে দেখা যায় প্রতি তিন বছর অন্তর চার জায়গার কোথাও না কোথাও কুম্ভমেলা বসছে, তা সে পূর্ণই হোক বা অর্ধ। বারোটি পূর্ণকুম্ভ অর্থাৎ প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর প্রয়াগে আয়োজিত হয় মহাকুম্ভ।

কুম্ভমেলা চারটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে আয়োজিত হয়। এই চারটি স্থান নির্বাচিত হয় বৃহস্পতি ও সূর্যের অবস্থান অনুসারে। বৃহস্পতি ও সূর্য সিংহ রাশিতে অবস্থান করলে নাসিকের ত্র্যম্বকেশ্বরে; সূর্য মেষ রাশিতে অবস্থান করলে হরিদ্বারে; বৃহস্পতি বৃষ রাশিতে এবং সূর্য কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করলে প্রয়াগে; এবং সূর্য বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করলে উজ্জয়িনীতে মেলা আয়োজিত হয়। সূর্য, চন্দ্র ও বৃহস্পতির রাশিগত অবস্থান অনুযায়ী মেলা আয়োজনের তিথি (তারিখ) নির্ধারিত হয়।

প্রতি মেলাস্থলের সঙ্গে এক বা একাধিক নদী জড়িয়ে। কারণ বিশেষ বিশেষ তিথিতে পুণ্যস্নানই হল কুম্ভমেলার প্রধান অঙ্গ। ইলাহাবাদে মেলা বসে গঙ্গা-যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সঙ্গমে। আর হরিদ্বারে বইছে গঙ্গা, উজ্জয়িনীতে শিপ্রা এবং নাসিকে গোদাবরী। গোদাবরী তীরে নাসিকে পুণ্যস্নান দু’ জায়গায় হয়। বৈষ্ণবরা স্নান করেন নাসিকের রামকুণ্ডতে আর শৈবরা স্নান করেন নাসিক থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ত্র্যম্বকেশ্বরে। ১৮৩৮ সালে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক হিংসার ফলে এই সিদ্ধান্ত হয়।

বলা হয় সমুদ্র মন্থন করে অমৃত কুম্ভের হাঁড়ি পাওয়ার পর দেবতারা যখন সেই হাঁড়ি নিয়ে পালাচ্ছিলেন, তখন হাঁড়ি থেকে কয়েক ফোঁটা অমৃত পড়েছিল যে চার জায়গায়, সেখানেই বসে কুম্ভমেলা।

সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/28/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate