অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

পশ্চিমবঙ্গে পৌষপার্বণ

পশ্চিমবঙ্গে পৌষপার্বণ

পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসব বাঙালির কাছে মূলত নতুন ফসলের উৎসব। তাই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে এই উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। বাঙালির ঘরে এই উৎসব পৌষপার্বণ নামে পরিচিত। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে ওঠে নতুন ধান। তাই এই উৎসবের আরেক নাম নবান্ন। এই দিন বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে খাকে। তার মধ্যে প্রধান হল পিঠে খাওয়া। নতুন ধান, খেজুরের গুড় এবং পাটালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠে তৈরি করা হয়, যার জন্য প্রয়োজন হয় চালের গুঁড়ো, নারকেল, দুধ আর খেজুরের গুড়।

পৌষ সংক্রান্তিতে বাংলার কৃষক পরিবারে যে শস্যোৎসব পালিত হয়, তার একটা স্থানীয় নাম আছে – আউনিবাউনি। তবে কোথাও কোথাও একে আওনিবাওনি বা আগলওয়া বলা হয়। এই উৎসবের উপলক্ষ ক্ষেতের পাকা ধান প্রথম ঘরে তোলা। আমন ধান ঘরে প্রথম তোলার প্রতীক হিসেবে কয়েকটি পাকা ধানের শিস ঘরে এনে কিছু নির্দিষ্ট আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়। দু-তিনটি ধানের শিস বিনুনি করে আউনিবাউনি তৈরি করা হয়। শিসের অভাবে দু-তিনটি খড় একত্রে লম্বা করে বিনুনি করে আউনিবাউনি তৈরি করা হয়। মুলোর ফুল, সরষে ফুল, আমপাতা ইত্যাদি গেঁথে আউনিবাউনি তৈরি করারও রেওয়াজ রয়েছে। এই আউনিবাউনি ধানের গোলা, ঢেঁকি, বাক্স-প্যাঁটরা, তোরঙ্গ ইত্যাদির উপর রেখে দেওয়া হয় অথবা খড়ের চালে গুঁজে দেওয়া হয়। বছরের প্রথম ফসলকে অতিপবিত্র ও সৌভাগ্যদায়ক মনে করে একটি পবিত্র ঘটে সারা বছর ধরে সংরক্ষণ করা হয়। এই আচারটিকেই 'আউনি বাউনি' বলা হয়।

মকর সংক্রান্তিতে কল্কাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ আছে। সারাদিন ঘুড়ি উড়ানোর পরে সন্ধ্যায় পটকা ফাটিয়ে ফানুস উড়িয়ে উৎসবের সমাপ্তি করা হয়। মকর সংক্রান্তিতে বীরভূমের কেন্দুলি গ্রামে এই দিনটিকে ঘিরে ঐতিহ্যময় জয়দেব মেলা হয়। বলা হয়, গীতগোবিন্দ রচয়িতা কবি জয়দেবের জন্মস্থান এই গ্রাম, এখানেই তিনি তাঁর বিখ্যাত কাব্য গীতগোবিন্দ রচনা করেন। এই দাবি নিয়ে পণ্ডিতরা অবশ্য দ্বিমত। তাতে অবশ্য জয়দেব মেলার আকর্ষণ বিন্দুমাত্র কমে না।বাউল গান এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ।

মকর সংক্রান্তিতে পশ্চিমবঙ্গের আরেক আকর্ষণ গঙ্গাসাগর মেলা। গঙ্গা যেখানে সাগরে মিলেছে সেই দ্বীপভূমি গঙ্গাসাগরে বসে সারা ভারতের মিলন মেলা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এখানে এসে সাগরসঙ্গমে অবগাহন করে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেন।

সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate