তিন তিন বার মনোনয়ন পেলেও কোনও ভারতীয় ছবি অস্কার জিতে নিতে পারেনি। কিন্তু অস্কার উপেক্ষা করতে পারেনি বিশ্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়কে।
সিনেমায় জুটি কাকে বলে তা প্রথম দেখিয়েছিলেন টালিগঞ্জের উত্তম-সুচিত্রা। আর সত্যজিতের পাশাপাশি আবির্ভাব ঘটেছিল বিরল প্রতিভার এক ঝাঁক বাঙালি চলচ্চিত্রকারের।
এর পর এল খান যুগ --- শাহরুখ-আমীর-সলমন।
শুরুর দিকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে দেশপ্রেম বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল। মূলত রাজনৈতিক কারণে এল সেন্সর বোর্ডও।
বিনোদনমূলক মসালা ছবিই শেষ কথা নয়, বলিউড দিয়েছে আরও নানা ধরনের চলচ্চিত্র, বিরল প্রতিভার চলচ্চিত্রকার এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।
শুরু হয়েছিল রাজ কাপুর আর গুরু দত্তকে দিয়ে। তার পর ভারতীয় সিনেমা একে একে পেল বলিউডের কিংবদন্তিদের।
দ্রাবিড় রাজনীতি আর দক্ষিণী সিনেমা যেন এক সুতোয় বাঁধা। কিন্তু সিনেমায় দক্ষিণের অবদান শুধু এতেই সীমাবদ্ধ নয়। বলিউডকে নিয়মিত অভিনেতা-অভিনেত্রী সরবরাহ করে গেছে দক্ষিণ। আমরা পেয়েছি হেমা-রেখা-শ্রীদেবীকে।
সংগীত ছাড়া উপমহাদেশের সিনেমা হয় না। এটা শুরুর দিন থেকেই প্রমাণিত। তাই আমরা পেয়েছি বিরল প্রতিভার গীতিকার, সুরকার আর সংগীতশিল্পীদের।
সত্তর দশকের গোড়ার দিকটা ছিল রাজেশ খান্না। তার পর আবির্ভাব ভারতীয় সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চনের।
১৯১৩ সালের ৩ মে দাদা সাহেব ঢুন্ডিরাজ গোবিন্দ ফালকে-র হাত ধরে উপমহাদেশের চলচ্চিত্র গৌরবোজ্জ্বল যাত্রা শুরু করে।
১৯৩১ সালের ১৪ মার্চ মুক্তি পায় আরদেশির ইরানি পরিচালিত ‘আলম আরা’, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র।
ধীরে ধীরে বলিউডের তারকারা ডাক পেয়েছেন হলিউডে। সেখানে তাঁরা তাঁদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।