বলিউডে বর্তমানে নাচ-গানে ভরপুর মসালা মুভির পরিমাণ বেশি হলেও শুধু নির্দিষ্ট ঘরানার ছবিতে আবদ্ধ থাকেনি। রোমান্টিক, কমেডি থেকে শুরু করে অ্যাকশন, হরর, সাইকো থ্রিলার এমনকী সায়েন্স ফিকশন ছবিও হচ্ছে বলিউডে। বলিউডের ছবির বিবর্তনের পথ পরিক্রমায় যাঁরা এখনও নেপথ্য নায়কের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে আরও রয়েছেন শ্যাম বেনেগাল, মণি রত্নম, প্রকাশ ঝা, মধুর ভান্ডারকর, মহেশ মঞ্জেরেকর, রামগোপাল ভার্মা, বিধু বিনোদ চোপড়া, রাজকুমার হিরানি, বিশাল ভরদ্বাজ, অনুরাগ কাশ্যপ, দিবাকর বন্দোপাধ্যায়, অনুরাগ বসু সহ আরও অনেকে।
মাঝে বলিউডে নারী চরিত্রগুলোকে চলচ্চিত্রে শুধুমাত্র সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রাখার একটি চল সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় নারীপ্রধান চরিত্র নিয়েই সিনেমা বানানো শুরু হয়। নারীকে শুধূ গ্ল্যামারাস ভাবে উপস্থাপনের এই প্রথা ভেঙে দেন শাবানা আজমি। বহু বার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী দারুণ ধ্রুপদী সব ছবি দিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এক নিঃশ্বাসে নাম করা যায় স্মিতা পাতিলের। অকালে ঝরে যাওয়া এই অভিনেত্রীও ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাময়ী। শাবানা-স্মিতার দেখানো পথেই পরবর্তীতে হেঁটেছেন নন্দিতা দাশ, টাবু, কঙ্কনা সেন শর্মা, রানি মুখার্জি, বিদ্যা বালান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া প্রমুখ। বর্তমানে বলিউডের গ্ল্যামার-চাকচিক্য আর মসালার ভিড়েও তাই এঁরা ব্যতিক্রম।
এ সব কিছুর মাঝেও সমগ্র বলিউড কৃতজ্ঞ থাকবে কাপুর পরিবারের প্রতি। ভারতে সবাক চলচ্চিত্রের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত কাপুর পরিবারের চার চারটি প্রজন্ম বলিউডে রাজত্ব করেছে। শুরুটা পৃথ্বীরাজ কাপুরের হাত ধরে। ভারতের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র আলম আরা-তে তিনি অভিনয় করেছিলেন। তাঁর সুপুত্র রাজ কাপুরকে বলা হয় ‘শোম্যান অফ দ্য মিলেনিয়াম’। রাজ কাপুরের দুই ভাই শশী কাপুর আর শাম্মী কাপুর বলিউডের বহু হিট ছবির জনক। রাজ কাপুরের তিন ছেলে রনধীর কাপুর, ঋষি কাপুর আর রাজীব কাপুরও বলিউডে বেশ ভালো অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। রনধীর কাপুরের দুই মেয়ে কারিশমা কাপুর আর কারিনা কাপুর বলিউডের দুই লাস্যময়ী অভিনেত্রী। আর ঋষি কাপুরের ছেলে রণবীর কাপুরের কথা তো আগেই বলেছি।
সূত্র : নাট্যচিন্তা, শতোত্তরবর্ষে বাংলা চলচ্চিত্র, নভেম্বর ২০১৩-এপ্রিল ২০১৪ সংখ্যা থেকে সংকলিত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020