১৯৮২ সালে স্যার রিচার্ড অ্যাটেনবরোর অস্কারজয়ী ‘গান্ধী’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মূলত বলিউড শিল্পীদের হলিউডে যাত্রা শুরু হয়।
অমরিশ পুরি, ওম পুরি, রোশন শেঠ সহ বলিউডের অনেক শিল্পীই এ ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৮৩ সালে কবির বেদী অভিনয় করেন জেমস বন্ড সিরিজের ‘অক্টোপুসি’ ছবিতে। ১৯৮৪ সালে অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘ইন্ডিয়ানা জোনস: দি টেম্পল অফ ডুম’ ছবিতে অমরিশ পুরির অভিনয় দেখে স্পিলবার্গ তো বলেই ফেলেন ‘ভিলেন চরিত্রে আমার সব চেয়ে প্রিয় এবং বর্তমান সময়ে সম্ভবত তিনিই বিশ্বসেরা’।
প্রথম দিকে ভারতীয় প্রেক্ষাপটে নির্মিত হলিউড ছবিতে বলিউড শিল্পীদের পার্শ্বচরিত্রে আনাগোনা দেখা গেলেও হলিউডে বলিউড তারকাদের অভিনয় এখন ডালপালা মেলে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সের কথা না বললেই নয় --- ভিক্টর ব্যানার্জি (এ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া), নাসিরউদ্দিন শাহ (দ্য লিগ অফ এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেন্টেলম্যান), অনিল কাপুর (স্লামডগ মিলিওনেয়ার, মিশন ইম্পসিবল: ঘোস্ট প্রটোকল), ইরফান খান (লাইফ অফ পাই, দ্য অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান, নিউইয়র্ক, আই লাভ ইউ, দ্য নেমেসেক), টাবু (লাইফ অফ পাই, দ্য নেমসেক), অনুপম খের (সিলভার লাইনিংস প্লেবুক), অমিতাভ বচ্চন (দ্য গ্রেট গ্যাটসবি), মল্লিকা শেরওয়াত (দ্য মিথ, পলিটিক্স অফ লাভ)। এ ছাড়াও রয়েছেন সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বর্যা রায়। প্রোভোকড: এ ট্রু স্টোরি, ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস, দ্য মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস, পিঙ্ক প্যানথার ২, দ্য লাস্ট লিজিয়ন-এর মতো ছবিগুলোতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
তালিকা দীর্ঘ। তবে তার চেয়েও বড় কথা, এই প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। একটা যুক্তি ঠিক, ভারতীয় অভিনেতাদের নিজেদের ছবিতে স্থান দেওয়ার মধ্য দিয়ে হলিউডের ভারতীয় বাজারকে বাড়ানোর কৌশল রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, হলিউডের মত পেশাদার জায়গায় শুধু এই যুক্তিতে অভিনেতা নির্বাচনের ব্যাপারটা মেনে নেওয়া কঠিন। আর যেসব অভিনেতা বা তারকারা হলিউডে সুযোগ পাচ্ছেন, তাদের অভিনয় ক্ষমতা যে প্রশ্নাতীত তা আমরা সকলেই জানি।
সূত্র : নাট্যচিন্তা, শতোত্তরবর্ষে বাংলা চলচ্চিত্র, নভেম্বর ২০১৩-এপ্রিল ২০১৪ সংখ্যা থেকে সংকলিত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/26/2020