সকলের জন্য শিক্ষা একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। প্রতিটি শিশু, তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যাতে উপযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা পান, তার জন্যই বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলনের সূত্রপাত। ১৯৯০ সালে শিক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক অধিবেশনে সর্বশিক্ষা অভিযানের নীতি গ্রহণ করা হয়।
অনেক বছর কেটে গেছে। আজও বহু দেশ সর্বশিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। সেনেগালের রাজধানী ডাকারে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ফের মিলিত হন। তাঁরা ঠিক করেন, ২০১৫ সালের মধ্যে সর্বশিক্ষার লক্ষ্যে তাঁরা পৌঁছবেন। শিক্ষা অভিযানের ছ’টি লক্ষ্য তাঁরা চিহ্নিত করেন, যার উদ্দেশ্য ২০১৫-এর মধ্যে শিশু, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষাসংক্রান্ত সব রকম চাহিদা মেটানো।
এই অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছে ইউনেস্কো। শিক্ষাসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলি সুসংহত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তারা। সরকার, উন্নয়নের কাজে যুক্ত নানা সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যম প্রভৃতির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ইউনেস্কো সর্বশিক্ষা অভিযানের মূল লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করে চলেছে।
বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে আটটি লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এর পোশাকি নাম মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল (এমডিজি)। ২০১৫ সালের মধ্যে সকলের জন্য শিক্ষার লক্ষ্যে যে অভিযান চলছে, তা আন্তর্জাতিক উন্নয়নের লক্ষ্যেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক এমডিজি ২ এবং শিক্ষায় লিঙ্গসমতা বিষয়ক এমডিজি ৩-এর লক্ষ্যে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020
কেন শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার জানানো হয়েছ...
লক্ষ্যগুলি কী, ব্যাখ্যা করা হয়েছে এখানে।
শিশুরও স্বাধীনতা আছে। আছে নিজের ভাব প্রকাশের অধিকা...