আমাদের দেশ ও মধ্য প্রাচ্যের বৃদ্ধ পুরুষেরা আইনি ভাবেই এ দেশের ছোট মেয়েদের বিয়ে করে এবং মেয়েরা প্রায়শই বেশ্যাবৃত্তি সহ বিবিধ শোষণ মূলক পরিস্থিতির শিকার হয়। আসলে বিবাহ এ ক্ষেত্রে শিশু পাচারের একটি উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যার দ্বারা বালিকারা শিশু শ্রমিকে পরিণত হয় ও বেশ্যাবৃত্তি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। এ নিইয়ে সমাজে বহু ভুল ধরণা এই একবিংশ শতাব্দীতেও বহাল রয়েছে। অনেক সৎ উদ্যোগও এ জন্য যথাযথ ফলাফল দিতে পারে না।
নিগ্রহ থেকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই বাল্যবিবাহ প্রয়োজন, একথা সম্পূর্ণ ভুল। নিগ্রহ থেকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই বাল্যবিবাহ প্রয়োজন, একথা সম্পূর্ণ ভুল। সত্যি কথা বলতে কি, এটা পরিবারের মধ্যে ও বাইরে থেকে শিশুকন্যার উপর সমস্ত রকম নির্যাতন চাপিয়ে দওয়ার সামিল। তাকে ক্রমাগত বলা হয় তুমি বিশ্বাস করো এবং মেনে চলো। বাল্যবিবাহ শিশু-ধর্ষণকেই প্রশ্রয় দেয়, কারণ শিশুরা কখনওই যৌন সংসর্গে লিপ্ত হওয়ার মতো পরিপক্ক থাকে না।
বিবাহিত বা অবিবাহিত কোনও মহিলাকেই কোনও বাইরের লোক সুরক্ষা দিতে পারে না। বিবাহিত বা অবিবাহিত, বৃদ্ধা বা তরুণী, পর্দানসীন বা পর্দানসীন নয়, সব মহিলাই ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের শিকার হতে পারেন। যে ভাবে মেয়েদের উপর অত্যাচারের হার বাড়ছে তাতে এটাই প্রমাণিত হয়।
যখন আমাদের গ্রামে কোনও পর্দানসীন অশিক্ষিত বিবাহিত মহিলা ধর্ষিত হন, তাঁরা অশিক্ষিত বলেই যে ধর্ষিতা হয়েছেন তা নয়, তাঁরা জাতিগত কারণে বা গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণেই ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হন।
সব শেষে যেটা বলতে হয়, এটা কখনওই বলা যায় না যে বাল্যবিবাহ পণপ্রথা সমস্যার সমাধান করতে পারে। আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজে ছেলের বাড়ির লোকেরা সব সময় এ কথাই ভাবে যে মেয়ের বাড়ির লোকেরা তাদের প্রতি বাধ্য থাকবে এবং তারা যখন যা চাইবে তা দেবে। যদি পণ বিয়ের সময় না নেওয়া হয় তবে বিয়ের পর ছেলের বাড়ির লোকেরা তাদের সমস্ত চাহিদা মেয়েটির উপর চাপিয়ে দেয়।
উৎস : পোর্টাল কন্টেন্ট দল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019