প্রচলিত ধারণা : কখনও কখনও নিয়মানুবর্তিতা শেখানর জন্য শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বাবা-মা এবং শিক্ষকের অধিকার আছে শিশুদের নিয়মানুবর্তিতা শেখানোর।
বাস্তব: কথায় বলে আদরে বাঁদর হয়। অতিরিক্ত আদর শিশুকে খারাপ করে তোলে , বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক এটাই শিখে বড় হয়েছেন। যে সব প্রাপ্ত বয়স্ক ছোটবেলায় বাবা-মা বা শিক্ষকদের হাতে মার খেয়েছেন, তাঁরা মনে করেন শিশুদের মারাটা তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। ছোটবেলার কথা তাঁরা ভুলে যান, যখন মার খেয়ে বা অসম্মানজনক শাস্তি পেয়ে তাঁরা মানসিক আঘাতে ভুগতেন।
নিয়মানুবর্তিতা শেখানোর নামে শিশুকে হামেশাই দৈহিক শাস্তি দেওয়া হয় । এ ধরনের শাস্তি তারা তাদের বাবা-মা ও স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই পেয়েই থাকে। প্রায় প্রত্যেকটি স্কুলেই এই ধরনের শাস্তি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এবং অধিকাংশ বাবা-মাই ছেলেমেয়েদের মারধর করেন।
নিয়মানুবর্তিতার নামে কখনও কখনও শিশুদের হাড় বা দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া হয়, তাঁদের চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়, তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত অমানবিক আচরণ করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/20/2020