অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

জওহর বালা আরোগ্য রক্ষা

জওহর বালা আরোগ্য রক্ষা

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ২০১০ সালের ১৪ নভেম্বর জওহর বালা আরোগ্য রক্ষা (জেবিএআর) নামে গোটা রাজ্যে একটি স্কুল শিক্ষা কর্মসূচি চালু করে। এই কর্মসূচির কার্যকরী নাম শিশু স্বাস্থ্য বিকাশ কর্মসূচি (সিএইচআইপি)।

কর্মসূচির উদ্দেশ্য

  • ১। স্কুল পড়ুয়া সমস্ত শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং তার পর পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নথি তৈরি।
  • ২। ৫-৭ বছর বয়সি সব পড়ুয়াকে ডিপিটি বুস্টার টিকা দেওয়া এবং ১০-১৫ বছর বয়সি সব পড়ুয়াকে টিটি বুস্টার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
  • ৩। সব শিশুকে বছরে দু’বার ভিটামিন এ ও ডি এবং কৃমি মারার ওষুধ দেওয়া এবং যারা রক্তাল্পতায় ভুগছে , তাদের আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড দেওয়া।
  • ৪। অপুষ্টি, পাঁচড়া, উকুন-সহ বিভিন্ন ছোটখাটো রোগের চিকিৎসা।
  • ৫। যে সব শিশুর তুলনামূলক গুরুতর অসুখ হয়েছে, তাদের যথাযথ চিকিৎসা, অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে পাঠানোর সুপারিশ করা।
  • ৬। শিশুদের সুসংহত ভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা, জীবনশৈলী এবং হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার যাতে তারা রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে। এবং
  • ৭। শিক্ষক এবং স্কুলের অন্য কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা, একই সঙ্গে তাদের পুষ্টি সংক্রান্ত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের উন্নতির বিষয়েও সচেতন করা দরকার।

জওহর বালা আরোগ্য রক্ষা রাজ্যের সকল সরকারি এবং সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রতিটি পড়ুয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং যাদের কোনও অসুখ রয়েছে, তাদের অন্যত্র চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করার কাজ করছেন স্কুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা দল। এর মধ্যে আছেন এক জন মেডিকেল অফিসার, চোখের ডাক্তার-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল।

চিকিসক বিস্তারিত পরীক্ষা করার পর প্রতিটি পড়ুয়াকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি নথি (স্কুল হেলথ রেকর্ড, এসএইচআর) দেওয়া হবে। এই নথির মেয়াদ পাঁচ বছর এবং এতে ওই পড়ুয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের উল্লেখ থাকবে। এই নথি শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে স্কুলেই থাকবে। যখন ওই পড়ুয়ার কোনও চিকিৎসা বা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হবে, তখন তাকে বা তার অভিভাবককে সেটি দেওয়া হবে। যে পড়ুয়ার কাছে এই নথি আছে, তাকে অন্ধ্রপ্রদেশ বৈদ্য বিধান পরিষদের (এপিভিভিপি) সমস্ত হাসপাতাল এবং শিক্ষণ হাসপাতালে চিকিৎসা ও অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য সকল সরকারি হাসপাতালে আলাদা কাউন্টার ও নথিভুক্তির ব্যবস্থা থাকবে। ভিটামিন এ, ডি ও কৃমি মারার ওষুধ ছাড়াও ডাক্তারি পরীক্ষার পর সব শিশুকে ছোটখাটো রোগের ওষুধও দেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/29/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate