প্রত্যেকটি মানুষের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার থাকা উচিত। দুর্ভাগ্যবশত গোটা পৃথিবীতে বহু শিশু এখনও শিশু সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত কারণ তারা প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ পায়নি।
২০০০ সালের শেষ পর্যন্ত শিক্ষা প্রকল্পের ফলাফল এই রকম --- ৯৪ শতাংশ ভারতীয়র জন্য প্রত্যেক এক কিলোমিটারের মধ্যে একটি করে প্রাথমিক স্কুল ও ৮৪ শতাংশ ভারতীয়র জন্য রয়েছে প্রতি তিন কিলোমিটারের মধ্যে উচ্চতর প্রাথমিক স্কুল। তফশিলি জাতি ও উপজাতির মেয়েদের জন্য আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির সংখ্যা প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা থেকে বাড়তে শুরু করে। সেইমতো প্রাথমিক ও উচ্চতর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ১৯৫০-৫১ সালে মাত্র ৩১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়, ১৯৯৬-৯৭ সালে তা বেড়ে হয় ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ। ১৯৫০-৫১ সালে প্রাথমিক ও উচ্চতর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ২৩ হাজার, ১৯৯৬-৯৭ সালে তা বেড়ে হয় ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার। ২০০২/২০০৩ সালে সারা দেশের ৮২ শতাংশ শিশু (৬-১৪ বছরের মধ্যে) প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সরকারের লক্ষ্য ১০০ শতাংশ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করা।
গোটা পৃথিবী থেকে চিরতরে দারিদ্র দূর করা এবং নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন প্রতিটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের ক্ষমতায়ন, যাতে তারা ঠিক পছন্দটি করতে পারে এবং নিজের ও নিজের পরিবারের যথাযথ সংস্থান করতে পারে। এটা একমাত্র সম্ভব যদি প্রতিটি শিশু প্রাথমিক স্তরে হলেও উন্নত শিক্ষার পরিবেশ পায়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019
সর্ব শিক্ষা অভিযান সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা...
সর্ব শিক্ষা অভিযান বলতে কী বোঝায় তা এখানে ব্যাখ্যা...