অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

মাধ্যমিক স্তরের জন্য পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি

মাধ্যমিক স্তরের জন্য পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি

মাধ্যমিক শিক্ষা সর্বজনীন (ইউএসই) করার জন্য আরও বিদ্যালয়, আরও শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক ও অন্যান্য সুবিধার জন্য বড় আকারে বিনিয়োগ করা দরকার, যাতে সংখ্যা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মান বজায় রাখা যায়। সে জন্য শিক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিকাঠামো, মানব সম্পদ ইত্যাদি মূল্যায়ন করতে হবে এবং বিভিন্ন কর্মসূচি ঠিকঠাক রূপায়িত হচ্ছে কি না, তার কার্যকর নজরদারি করতে হবে। পরিকল্পনাটি প্রথমে দশম শ্রেণি পর্যন্ত হবে। সেটা রূপায়ণের দুই বছরের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যায়ের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। মাধ্যমিক শিক্ষা সর্বজনীন করা এবং তার মান উন্নত করার নীতি নিম্নরূপ:

অধিগম্যতা

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যালয়ের সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য আছে। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির মধ্যে এবং বেসরকারি ও সরকারি বিদ্যালয়গুলির মধ্যেও অসমতা আছে। ভালো মানের সর্বজনীন মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হলে প্রতিটি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের, এমনকী প্রয়োজনে স্থানীয় অঞ্চলের, ভৌগোলিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ভাষাগত ও জনতত্ত্বগত বিষয় মাথায় রেখে জাতীয় স্তরে একটি ব্যাপক বিস্তৃত নির্দেশিকা প্রস্তুত করা বিশেষ ভাবে দরকার । মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির রীতি সাধারণ ভাবে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সম মানের হওয়া উচিত। পরিকাঠামো এবং শিক্ষার ব্যবস্থার উন্নয়ন নিম্নলিখিত উপায়ে রূপায়ণ করা হবে ---

  • বর্তমান মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে পড়ানোর সময় বাড়ানো বা তা নিয়ে পরিকল্পনা করা।
  • ছোটখাটো পরিকল্পনা অনুসারে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে সমস্ত পরিকাঠামো এবং শিক্ষকসহ উন্নীত করা। এই ব্যাপারে আশ্রম বিদ্যালয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
  • প্রয়োজনের ভিত্তিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করা।
  • বিদ্যালয়ের অবস্থিতির মানচিত্রের ভিত্তিতে, যেখানে নেই সেখানে মাধ্যমিক/ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা। এই সব বিদ্যালয় ভবন প্রতিবন্ধী-বান্ধব হবে এবং সেখানে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
  • বর্তমান বিদ্যালয়গুলিতেও বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
  • চালু বিদ্যালয়গুলির ভবনও প্রতিবন্ধী-বান্ধব হবে।
  • সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নতুন বিদ্যালয় গড়া হবে।

মান

  • প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো যেমন, ব্ল্যাকবোর্ড, আসবাবপত্র, পুস্তকাগার, বিজ্ঞান ও অংকের পরীক্ষাগার, কম্পিউটার শিক্ষার ঘর, বেশ কয়েকটি শৌচালয় ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।
  • বাড়তি শিক্ষক নিয়োগ এবং কার্যরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ।
  • অষ্টম শ্রেণি পাস করা ছাত্রদের বাড়তি শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতাবৃদ্ধির জন্য সেতুবন্ধ পাঠ্যক্রম।
  • ২০০৫ সালের জাতীয় পাঠক্রম কাঠামোর (এনসিএফ) মানের সমকক্ষ হওয়ার জন্য পাঠক্রম পর্যালোচনা করা।
  • গ্রামে এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিককদের জন্য বাসস্থান।
  • মহিলা শিক্ষকদের বাসস্থানে অগ্রাধিকার।

ন্যায্যতা

  • তফসিলি জাতি এবং উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতি এবং সংখ্যালঘুদের জন্য বিনামূল্যে থাকা/খাওয়ার ব্যবস্থা করা।
  • মেয়েদের জন্য হস্টেল/আবাসিক বিদ্যালয়, আর্থিক সুবিধা, পোশাক, বই, আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থা করা।
  • মাধ্যমিক স্তরে মেধাবী এবং গরিব ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া।
  • সব কার্যকলাপে সর্বাত্মক শিক্ষার দিকে নজর দেওয়া হবে। সব বিদ্যালয়ে ভিন্ন ভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা।
  • মূলত যারা পুরো সময়ের মাধ্যমিক শিক্ষার সুবিধা নিতে পারে না, তাদের জন্য এবং মুখোমুখি পড়াশোনার ব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে/তাকে সমৃদ্ধ করার জন্য মুক্ত এবং দূরশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। পদ্ধতিটি বিদ্যালয়ের বাইরের ছেলেমেয়েদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/1/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate