অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

প্রসঙ্গ : বিবিধ প্রসঙ্গ

বয়সের প্রমাণপত্র ও স্থানান্তরের শংসাপত্র কী ?

জন্ম, মৃত্যু ও বিবাহ নথিভুক্তি আইন, ১৮৮৬ অনুসারে জন্মের কোনও যথাযথ শংসাপত্র যদি কোনও শিশুর না থাকে, তা হলে হাসপাতাল/এএনএম, অঙ্গনওয়াড়ি নথি বা বাবা-মা/অভিভাবকের হলফনামাতেও কাজ হবে (আদর্শ বিধি ৯)। যদিও আইনের ১৪(২) ধারা অনুযায়ী নোটারিতে হলফনামা-সহ এগুলির কোনওটাই যদি না থাকে, তা হলেও শিশুর ভর্তি আটকানো যাবে না। যদি বাবা-মা বলে শিশুর বয়স ৬ বছর পেরিয়েছে, তা হলেও ভর্তি নিতেই হবে। উপরোক্ত নথিগুলি সে ক্ষেত্রে পরে জোগাড় করে নিতে হবে।

কোনও শিশু অঞ্চল ছেড়ে চলে গেলে প্রধান শিক্ষককে দ্রুত স্থানান্তরের শংসাপত্র দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও রকম দেরি হলে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও স্থানান্তরের শংসাপত্র না থাকলেও কোনও শিশুর ভর্তি আটকানো যাবে না (আইনের ৫(২) ও (৩) নং ধারা)।

আইনটিতে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বগুলি মিশ্রিত হয়ে আছে বলে মনে হ, কেন ? কোন কর্তৃপক্ষের কী দায়িত্ব রয়েছে ?

তাদের কাজ ও দায়িত্ব কিছুটা একে অন্যের সঙ্গে মিলেমিশে আছে বা পরিপূরক ভূমিকায় আছে। তা হলেও প্রকৃতপক্ষে ‘যথাযথ সরকার’ই নীতি প্রণয়ণ করবে, পাঠক্রম ঠিক করবে, শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করবে, কোথায় তাঁদের পাঠানো হবে তা-ও ঠিক করবে, আর্থিক বন্দোবস্ত করবে ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। অন্য দিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গণনা, ভর্তি, পড়ুয়াদের উপস্থিতি, কোথায় স্কুল হবে তা ঠিক করা, পাশ্ববর্তী অঞ্চলে স্কুলের সংখ্যা বিষয়ক তথ্য ও নজরদারির কাজ করবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নিখুঁত ভাবে কোথায় স্কুল হবে তা ঠিক করা এবং পাশ্ববর্তী অঞ্চলে স্কুলের সংখ্যা হিসেব করতে কোনও কোনও রাজ্য সরকার জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এর দ্বারা সংশ্লিষ্ট সরকার স্কুলের ভৌগোলিক অবস্থান, বসতি থেকে স্কুল কত দূরে, যাতায়াতের পথে কী বাধা আছে সে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকার এবং স্থানীয় সরকারকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

বাধ্যবাধকতা কার ?

৮ নং ধারার ব্যাখ্যা (১) ও (২) অনুসারে রাষ্ট্র নিখরচায় শিক্ষা দিতে, বাধ্যতামূলক ভর্তি, উপস্থিতি এবং প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করা নিশ্চিত করতে বাধ্য। এর অর্থ হল, যখন স্কুল রয়েছে, সেই অবস্থায় ৬-১৪ বছর বয়সি কোনও শিশু যদি চায়ের দোকানে, চাষের ক্ষেতে বা অন্য কোথাও কাজ করে বা বাড়িতে রান্না করে কিংবা ঘুরে বেড়ায়, তা হলে সরকার তার মৌলিক অধিকার তাকে দিচ্ছে না। সব শিশু যাতে প্রাথমিক শিক্ষা পেতে স্কুলে যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করে তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। শিশুশ্রমিকের বিষয়টিতে এর প্রভাব সরাসরি রয়েছে। যদি কোনও শিশু স্কুলে না গিয়ে শিশুশ্রমে যুক্ত থাকে, তা হলে বুঝতে হবে সরকার আইন মানছে না। অন্য দিকে, ১৯৮৬ সালের শিশুশ্রম আইন কোনও ভাবেই এই আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং আইনটি মূল্যায়ন ও সংশোধন করে শিক্ষার অধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে তোলার জন্য জন্য শ্রম মন্ত্রকের ওপর চাপ বাড়ছে ।

শর্ত এবং মানের(তফশিল) কি উন্নতি ও পরিবর্তন সম্ভব ?

হ্যাঁ এবং তার জন্য সংসদের কোনও সংশোধনী আনার প্রয়োজন নেই। ২০ নং ধারা অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার নোটিফিকেশন জারি করেই তা করতে পারে।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/30/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate