এনসিপিসিআর, নবোদয় স্কুলের কমিশনার এবং সমস্ত রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে জানিয়েছে, যাতে বুনিয়াদি শিক্ষার ক্ষেত্রে (প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি) কোনও রকম বাছাই প্রক্রিয়া না থাকে। এনসিপিসিআর যখন জানতে পারে দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্যের নবোদয় স্কুলগুলি ছাত্র বাছাই করছে তখন তারা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।
আরটিই আইন, ২০০৯-এর ১৩ নম্বর ধারা উদ্ধৃত করে কমিশন জানায়, কোনও শিশুকে স্কুলে ভর্তি করার সময় ক্যাপিটেশন ফি নেওয়া বা শিশু, তার বাবা, মা বা অভিভাবককে বাছাই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা আইনত নিষিদ্ধ। কারও কাছ থকে ক্যাপিটেশন ফি নেওয়া হলে সেই স্কুল বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ক্যাপিটেশন ফি-র ১০ গুণ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
কোনও শিশুকে বাছাই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত করলে, প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তী প্রতিটি ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা হবে। আরটিই আইনে বিশেষ গোত্রের স্কুল হিসেবে চিহ্নিত নবোদয় স্কুল সহ প্রতিটি স্কুলেই ১৩ নম্বর ধারা প্রযোজ্য। কমিশন স্পষ্ট করে দেয়, নবোদয় স্কুলেও বাছাই প্রক্রিয়া বেআইনি। কমিশন সমস্ত রাজ্য সরকারকে সব স্কুলকে আইনে যা আছে সে সম্পর্কে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করে, যাতে তারা ভর্তির প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতিতে এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবর্তন আনে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/28/2020