২০০২ সালে সংবিধানের ৮৬ তম সংশোধনীর মাধ্যমে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের ৬ বছর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শিক্ষার অধিকার বিলে ছাড়পত্র দেয়। বিলে যে সুযোগগুলি রয়েছে : পার্শ্ববর্তী এলাকার পিছিয়ে থাকা শিশুদের ভর্তির জন্য বেসরকারি স্কুলে ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ রাখতে হবে। স্কুলের আর্থিক দায় সরকার মেটাবে। ভর্তির জন্য কোনও অনুদান বা ক্যাপিটেশন ফি নেওয়া যাবে না, বাছাই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে শিশু বা তার বাবা মায়ের ইন্টারভিউ নেওয়া যাবে না। ভর্তির জন্য কোনও অনুদান বা ক্যাপিটেশন ফি নেওয়া যাবে না, বাছাই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে শিশু বা তার বাবা মায়ের ইন্টারভিউ নেওয়া যাবে না। শিশুকে শারীরিক শাস্তি দেওয়া, বহিষ্কার করা বা আটকে রাখা এই বিলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদম সুমারি, নির্বাচন ডিউটি বা বিপর্যয়ের ত্রাণ সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া কোনও শিক্ষককে অন্য কাজে পাঠানো যাবে না। অনুমোদন ছাড়া কোনও স্কুল চালালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৮৬ তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ৬ - ১৪ বছর বয়সি প্রতিটি শিশুর বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আইনটি শিক্ষার অধিকার বিলের মাধ্যমেই তৈরি হয়।
২০১২ সালের ১২ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্ট শিশুর বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন, ২০০৯ - কে বৈধ বলে জানিয়েছে এবং কাল ব্যয় না করে, বেসরকারি স্কুল সহ প্রতিটি স্কুলকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের শিশুদের প্রথম শ্রেণি থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে বলেছে।
আদালত সরকারি সাহায্য না পাওয়া বেসরকারি স্কুলগুলির উদ্দেশে এই আইনের ১২ (১) (গ) ধারা উল্লেখ করে বলেছে, বুনিয়াদি শিক্ষা দেয় এমন যে কোনও স্কুল, তারা যদি নিজেদের খরচ মেটানোর জন্য সরকারি সাহায্য নাও নেয়, তবুও তারা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বালকবালিকাদের ভর্তি নিতে বাধ্য থাকবে।
সূত্র - টাইমস অফ ইন্ডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020