অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

জ্বালানি পণ্য‌ের কম দামে উদ্ভূত পরিস্থিতি

জ্বালানি পণ্য‌ের কম দামে উদ্ভূত পরিস্থিতি

কেরোসিন, এলপিজি, ডিজেল ও ন্য‌াপথার মতো সার প্রকল্পে ব্য‌বহার্য জ্বালানি এবং কৃষি ও ঘর গেরস্থালির কাজে ব্য‌বহার্য বিদ্য‌ুতের দাম কম রাখায় সরকারের ঘাড়ে বেশ ভালো রকম আর্থিক দায়িত্বের বোঝা বেড়েছে। সারণি ৩ – এ ওই সমস্ত পণ্যের আমদানি খাতে ব্যয় এবং দেশে ব্যবহারের জন্য নিয়ন্ত্রিত মূল্যের ফারাকের একটি চিত্র তুলে ধরা হল।

নিয়ন্ত্রিত মূল্য‌ের ফারাক

পণ্য‌

আমদানি মূল্য‌

নিয়ন্ত্রিত মূল্য‌

কেরোসিন (লিটারপিছু টাকার হিসাবে)

৪৬.

১৪.

রান্নার গ্য‌াস

৯১১.

৪১০.

ডিজেল (লিটারপিছু টাকার হিসাবে)

৫৭

৪৭.

গ্য‌াসোলিন (লিটারপিছু টাকার হিসাবে)

৭২.

৬৮.

সমীক্ষায় প্রকাশ, ধনী পরিবারগুলির ১০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের ১০ শতাংশের তুলনায় সাত গুণ বেশি ভর্তুকি পেয়ে থাকে। তাই লক্ষ্য‌ ও উদ্দেশ্য‌ পূরণে খামতি থেকে যাচ্ছে।

এক বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ বেশ কয়েকটি রাজ্য‌ে বিনামূল্য‌ে অথবা ভর্তুকিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে রাজ্য‌ বিদ্য‌ুৎ পর্ষদগুলির আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। রাজ্য‌ সরকারের তরফে যে ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল তাও পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের সময় ভালো ফলের আশায় ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। কোনও মিটারের হিসাবের তোয়াক্কা না করে সমান দরে ও একই হারে কৃষকদের বিদ্য‌ুৎ দেওয়া হয়েছে। এ সমস্তর ফলে যে নেতিবাচক দিকগুলি দেখা গেছে তা হল মোটামুটি সম্পন্ন কৃষকরা ভর্তুকির সিংহভাগ নিজেরাই টেনে নিয়েছে, বিদ্য‌ুৎ চুরির ঘটনাও বেড়ে গিয়েছে অনেক গুণ। প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ অর্থনৈতিক বাস্তবতা থেকে বিদ্য‌ুতের মাশুল স্থির করা হয় রাজনৈতিক তাগিদ ও বাধ্য‌বাধকতায়। ভোট ব্য‌াঙ্ক হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে কোনও রাজনৈতিক দলই বিদ্য‌ুৎ বা জ্বালানির মাশুল বাড়াতে রাজি হয় না।

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ভারতের জাতীয় কর্মসূচিতে ভারতীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব ও সমস্য‌ার উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় গড়ে তোলা হয়েছে ৮টি জাতীয় মিশন। এর মধ্য‌ে রয়েছে আবার জাতীয় সৌর মিশন এবং উন্নত শক্তির দক্ষতা বাড়ানোর জাতীয় মিশন। মিশন দু’টির লক্ষ্য‌ শক্তি ও জ্বালানি সমস্য‌ার সমাধান। পুনর্ব্য‌হারযোগ্য‌ জ্বালানি উন্নয়নে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে। অধ্যাপক কীর্তি পারেখের নেতৃত্বে কার্বন নির্গমণ ও তার প্রভাব কমানোর উপায় বাতলাতে সরকার ২০০৯ সালে এক বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী গঠন করে। গোষ্ঠীর একটি অন্তবর্তীকালীন প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে ২০১১ সালে।

সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪

সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/29/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate