তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের কে বিবেকানন্দন ৮ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ৩ অশ্বশক্তির পিন পালভারাইজার তৈরি করেছেন যাতে লঙ্কা এবং ধনে গুঁড়ো করা যায়। “যে সব গ্রামীণ মহিলা ঘরে বসে রোজগার করতে চান, তাঁদের কাছে এই যন্ত্রটি আয়ের নতুন পথ খুলে দিয়েছে”, বলেছেন বিবেকানন্দন।
বর্তমানে প্রচলিত লঙ্কা ও ধনে গুঁড়ো করার যন্ত্র বসাতে অনেক বেশি খরচ লাগে এবং তাতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে তা গ্রামীণ এলাকায় পাওয়া দুষ্কর।
যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে
বিবেকানন্দন ভেবেছিলেন মশলা গুঁড়ো করার সময় যে সব সমস্যা হয় তাঁর মেশিনে তার ৯০ শতাংশ সমাধান করে ফেলেছেন। তিনি এ ধরনের ১০০টি যন্ত্র বানান। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা হল তিনি মাত্র কুড়িটি যন্ত্রের ক্রেতা পেয়েছেন। কোনও কোনও ক্রেতা আবার তা ফিরিয়ে দিয়েও গিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য হল গুঁড়ো করা ধনে বা লঙ্কা ঠিকমতো ফিল্টার স্ক্রিন দিয়ে গলছে না এবং গুঁড়ো করার সময় অনেক বেশি পরিমাণ ধুলো তৈরি হচ্ছে। বিবেকানন্দনের কাজ অচল হয়ে পড়ল এবং প্রায় এক বছর তাঁর কাজ বন্ধ রাখতে হল।
বিবেকানন্দন ভিলগ্রোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন (এই সস্থাটি গ্রামীণ উদ্যোগীদের সহায়তা করে থাকে)। সমস্যা সমাধানের জন্য কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনাও করেন। ভিলগ্রোর কর্মীরা সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেন। গোড়ায় কারিগরি বিশেষজ্ঞরা বিবেকানন্দনকে ১ অশ্বশক্তির সিঙ্গল ফেজ যন্ত্র নির্মাণের ব্যাপারে সাহায্য করেন। তাঁদের বক্তব্য হল ৩ অশ্বশক্তির যন্ত্র ব্যবহার করলে তার গতি যথাযথ হবে না। (গ্রামীণ এলাকায় ভোল্টেজ ওঠানামা করার দরুন ৩ হর্সপাওয়ারের চেয়ে ১ হর্সপাওয়ারের যন্ত্র ব্যবহার করাই ভালো)
অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা গেল ধনে এবং লঙ্কার গুঁড়ো যে স্ক্রিনের গায়ে লেগে যাচ্ছে তার কারণ ওই পণ্যগুলিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকা নয় বরং রোটরের স্পিড বেড়ে যাওয়া। যন্ত্রের ওজন কমানোর ব্যবস্থা করা হল। এর দেওয়ালের বেধ, আকার এবং রোটর ও স্ট্যাটরের ব্যাস গ্রামে ব্যবহারের উপযোগী করে সংশোধন করা হল।
খরচ
মি.বিবেকানন্দন গ্রামীণ চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যবহৃত সামগ্রীর দিকে নজর দিয়ে খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এখন মোটর-সহ প্রতিটি মেশিনের দাম পড়ে ১১৫০০টাকা।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ-
কে বিবেকানন্দন, মেসার্স বিবেগা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, নিউ নং ১১৬-১১৮, সাতি রোড, আর কে পুরম, গণপতি,
কোয়েম্বাটোর-৬৪১০০৬
সূত্র : দ্য হিন্দু।
সংশ্লিষ্ট সংযোগ : SRISTI
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/16/2020