২০২০ সালের মধ্যে দেশের বাকি ২০ হাজার গ্রামে সৌরশক্তির সাহায্যে অফ-গ্রিড বা গ্রিড-বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
গ্রামীণ এলাকায়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে শক্তি বণ্টন ও সংবহনের জন্য বিপুল পরিকাঠামোর দরকার। ইনফ্রা ইনসাইট মনে করে ১০০ শতাংশ গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন করার জন্য সৌরশক্তির ব্যবহার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য ছাদে সৌর পিভি সেল বসানোর প্রয়োজন রয়েছে। এর ফলে এই ধরনের সেলের উৎপাদনকারীদের প্রচুর ব্যবসায়িক সুবিধা হবে। যে সব কোম্পানি লাভ করবে তার মধ্যে রয়েছে মোসার বিয়ার, টাটা সোলার, সুজলন ইত্যাদি।
২০২২ সাল পর্যন্ত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে,১৭৫০০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে থাকবে ১০০০০০ মেগাওয়াট সৌরশক্তি, ৬০ হাজার মেগাওয়াট বায়ুশক্তি, ১০ হাজার মেগাওয়াট জৈবভর শক্তি এবং ৫ হাজার মেগাওয়াট ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ ক্ষেত্র থেকে পাওয়া শক্তি রয়েছে।
এর ফলে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিনিয়োগকারী উপকৃত হবেন। এই ক্ষেত্রে লগ্নির পরিমাণ প্রচুর বাড়বে। সরকার এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। তাদের লক্ষ্যমাত্রা এই ক্ষেত্রে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে যে সব কোম্পানি বিশেষ ভাবে উপকৃত হবে সেগুলি হল — সুজলন এনার্জি, গ্রেঙ্কো গ্রুপ, আজুরে পাওয়ার, টাটা পাওয়ার সোলার প্রভৃতি কোম্পানি।
সূত্র : ইনফ্রা ইনসাইট ওয়েবসাইট
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020