পাঁচটি নতুন আলট্রা পাওয়ার প্রজেক্ট তৈরি হবে। প্রতিটি ৪০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন. এগুলি ‘প্লাগ অ্যান্ড প্লে’ পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কুড়ানকুলাম পারমানবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করবে।
দেশে মোট শক্তি ক্ষেত্রের উৎপাদন অনেকটাই বাড়বে। স্বচ্ছ নিলাম ব্যবস্থার সাহায্যে ইউনিটগুলি কমিশন করা হবে। সেই জন্য প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ আগেভাগেই দেওয়া থাকবে। ঠিকমতো সময়ে প্রকল্পটি শেষ করার জন্য এই ধরনের আগাম ছাড়পত্রের ব্যবস্থা খুবই কার্যকর। এর জন্য মোট বিনিয়োগ হবে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রকল্পগুলিতে বেসরকারি উদ্যোগের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে। শক্তি ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ টানার জন্য সরকার ইতিমধ্যেই ১০ বছরের করমুক্ত দিবস ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার দ্বারা বিশেষ ভাবে উপকৃত হবে এনটিপিসি, রিলায়েন্স পাওয়ার, টাটা পাওয়ার, জিন্দাল পাওয়ার ইত্যাদি কোম্পানিগুলি।
এক জানলা প্রকল্প ছাড়ের ব্যাপারে বিধির খসড়া তৈরি করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হবে।
শক্তি এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতে ছাড়পত্র পাওয়াটা বিশেষ ঝামেলার ব্যাপার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার প্রমাণ করে দিল এ ব্যাপারে সংস্কার আনার জন্য তারা বদ্ধপরিকর। এই নীতির ফলে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। তাঁরা আরও বেশি করে শক্তি ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে উৎসাহী হবেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে দ্রুত সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করার দেশগুলির মধ্যে ভারতের অবস্থানকে ১৪২ থেকে ৫০-এ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছেন।
সূত্র : ইনফ্রা ইনসাইট ওয়েবসাইট
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020