বিশ্ব-পরিক্রমায় বেরোতে চলেছে সৌরশক্তি চালিত বিমান ‘সোলার ইমপালস ২’। ভারতেও আসছে সে। মার্চের শুরুতেই। সুইস গবেষক তথা আবিষ্কারক বারট্র্যান্ড পিকার্ড ও আন্দ্রে বরশবার্গ জানিয়েছেন সেই কথা।
এ মাসের শেষের দিকে পৃথিবী-পরিক্রমায় বেরোবে সৌর-বিমানটি। আবু ধাবি থেকে যাত্রা শুরু করবে সে। মাঝে মাসকাটে নেমে তার পরই চলে আসবে ভারতে। এ দেশে আমদাবাদ ও বারাণসী, এই দুই শহরে নামার কথা ‘সোলার ইমপালস ২’-র।
বিমানের পিঠের উপর রয়েছে ৭২ মিটার টানা লম্বা ডানা। তার উপর বসানো ১৭২৪৮টি সোলার সেল বা সৌরকোষ। যারা শুষে নিতে পারে সূর্যের শক্তি। আর সেই শক্তিকে রসদ করেই পাড়ি দেবে বিমান। দিনের বেলায় যে সৌরশক্তি জমা হবে, তাতে রাতেও উড়বে সে। বিমানের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার। ভারত থেকে সৌর-বিমান মান্দালয়, মায়ানমার হয়ে যাবে চিনে। তার পর প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে পৌঁছে যাবে আমেরিকায়। সেখান থেকে অতলান্তিক পেরিয়ে দক্ষিণ ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা হয়ে ফের পা ফেলবে আবু ধাবিতে।
দুই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কাটিয়ে দূষণহীন পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তির ব্যবহার।
ওই সৌর বিমান শেষ পর্যন্ত ভারতের মাটিতে পা রাখল। মধ্যপ্রাচ্য থেকে তা উড়ে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শহর আমেদাবাদে। তবে সেখানকার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। বেশ কয়েকদিন বিমানটিকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। বৈমানিকদের বক্তব্য,কাগজপত্র ঠিক ছিল না বলে বিমানটি আমেদাবাদ ছাড়ার অনুমতি পায়নি।
কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে অনেকটাই সময় নষ্ট হয়। এই কাগজ সেই কাগজের ফাঁদে প্রায় পাঁচদিন আমেদাবাদেই সময় কাটাতে হয় দুই বৈমানিককে। অবশেষে তা বেনারস উড়ে যাওয়ার অনুমতি পায়। বেনারস থেকে উড়ে যায় মায়ানমারে। বিমানির ডানায় যে সৌরকোষগুলি লাগানো ছিল মাঝে তার মেরামতিরও প্রয়োজন হয়। ভারতেই তার ব্যবস্থা হয়েছিল।বিমানটি দেখতে দুই শহরেই বেশ ভাল ভিড় হয়েছিল। বিশেষ উৎসাহ ছিল ছাত্রদের মধ্যে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020