আরজিজিভিওয়াইয়ের আওতায় অগ্রগতি
ভারত সরকারের আরজিজিভিওয়াই প্রকল্পের মাধ্যমে মে ২০১৪-র মধ্যে দেশের ৯৬ শতাংশ বিদ্যুৎবিহীন গ্রামে বিদ্যুদয়নের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ গ্রামে নিবিড় বিদ্যুদয়নের কাজ হয়েছে। ৭৭ শতাংশ বিপিএল তালিকাভুক্ত বাড়িতে নিখরচায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংস্থা ২০টি রাজ্যে গোটা প্রকল্পটির মূল্যায়ন করেছে। তাদের সমীক্ষা থেকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উঠে এসেছে –
- বেশির ভাগ মানুষ জানিয়েছেন তাঁরা বিদ্যুদয়নে উপকৃত হয়েছেন। তাঁরা এখন বালব, ফ্যান, টিভি, এমনকী মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারছেন। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ (৪৩ শতাংশ) জানিয়েছেণ, তাঁরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে শুরু করেছেন কারণ আগে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। বিহারবাসী বিদ্যুৎ পাওয়ার সুফল ক্রমান্বয়ে এ ভাবে সাজিয়েছেন
- আলো (৯৪.৯ শতাংশ), নিরাপত্তা (৮৯.৯ শতাংশ), মোবাইল পরিষেবা (৪২.১ শতাংশ), তথ্যও বিনোদনের সুবিধা (৫২.১ শতাংশ) এবং পাখার হাওয়া (১৮.৪ শতাংশ)।
- রাস্তায় ও বাড়িতে আলোর ব্যবস্থা হওয়ার ফলে মধ্যপ্রদেশের ৮৫ শতাংশ গ্রামবাসী, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা, বন্যজন্তু, বিষাক্ত সাপ, ডাকাতদের হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষিত ও নিরাপদ ভাবছেন।
- রাজস্থানে সমীক্ষা করা মহিলাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ পৌঁছনোর পর তাঁরা খেতের কাজ করতে পারছেন।
- প্রতিটি রাজ্যেই ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছে, বিদ্যুৎ আসার পর তারা অনেক বেশিক্ষণ পড়াশুনা করার সুযোগ পাচ্ছে। শুধু তা-ই নয় কেরোসিন বাতির জন্য যে অর্থ ও সময় খরচ হত তার থেকেও মুক্তি পেয়েছে তারা। ক্লাসে পাখা থাকায় গরমের দিনগুলিতে তারা বেশ স্বস্তিতে পড়াশুনা করতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশে উপকৃতদের ৮৮ শতাংশ জানিয়েছে বিদ্যুদয়নের সদর্থক প্রভাব পড়েছে লেখাপড়ার উপর। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে পড়াশোনার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহারের হার যথাক্রমে ৬৪, ৫৬ ও ৪৮ শতাংশ।
- জম্মু ও কাশ্মীরে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন আরজিজিভিওয়াই প্রকল্প রূপায়ণের ফলে জীবনের নিরাপত্তা ও মানের অনেক উন্নতি হয়েছে। গ্রামবাসীরা রাতে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পাচ্ছেন। কিছু কিছু গ্রামে শস্যঝাড়াইয়ের কাজে গ্রামবাসীরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। আরজিজিভিওয়াই লাইনের মারফত গ্রামের বহু দোকানও আলোকিত করা সম্ভব হয়েছে।
সূত্র : Rajiv Gandhi Grameen Vidyutikaran Yojana website
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/19/2020
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.