সমস্ত চালু প্রকল্পকে একত্র করে এপ্রিল ২০০৫ থেকে রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বিদ্যুতীকরণ যোজনা (আরজিজিভিওয়াই) চালু করা হয়। যে সব গ্রামে গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া খরচসাপেক্ষ বা অন্যকারণে সম্ভব নয় সেখানে এই প্রকল্প অনুসারে সরকার বিকেন্দ্রীকৃত বণ্টিত উৎপাদনের (ডিডিজি) মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। যে সব এলাকায় গ্রিড সংযোগ থাকলেও দিনে ৬ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না দ্বাদশ যোজনায় সেখানেও এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ডিডিজি চিরাচরিত শক্তির উৎসকে বা অপ্রচলিত শক্তির উৎসকে (যেমন জৈবভর, জৈবজ্বালানি, জৈবগ্যাস, জলবিদ্যুৎ, সৌরশক্তি প্রভৃতি) কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বণ্টন করতে পারবে। ডিডিজি প্রকল্পে ভর্তুকির জন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের সামগ্রিক খরচের মধ্যেই অতিরিক্ত প্রয়োজন মেটানোর জন্য এই বরাদ্দ নমনীয় রাখা হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৯০ শতাংশ টাকা ভারত সরকার প্রদান করে। বাকি দশ শতাংশ টাকা গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন নিগম (আরইসি) রাজ্যসরকারকে ঋণ হিসাবে দেয়। এই কর্মসূচির নোডাল এজেন্সি হল আরইসি।
লক্ষ্য
- নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী সব গ্রাম ও বসতি অঞ্চল বিদ্যুদয়িত করা।
- প্রতিটি গ্রামীণ বাড়ি যাতে বিদ্যুৎ পায় তার ব্যবস্থা করা।
- নিখরচায় বিপিএল সীমার নীচে থাকা মানুষদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা।
আরজিজিভিওয়াইয়ের আওতায় পরিকাঠামো
- যে সব ব্লকে নেই সেখানে ৩৩/১১ কেভি (বা ৬৬/১১ কেভি) ক্ষমতাসম্পন্ন সাবস্টেশন সহ গ্রামীণ বিদ্যুৎ বন্টনের পরিকাঠামো (আরইডিবি) তৈরি করা।
- গ্রাম বা বসতি অঞ্চলে উপযুক্ত ট্রান্সফরমার-সহ গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন পরিকাঠামো (ভিইআই) তৈরি।
- যেখানে গ্রিড ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ পৌঁছনো সম্ভব নয় বা অনেক খরচসাধ্য সেখানে চিরাচরিত ও অপ্রচলিত উৎসের ভিত্তিতে বিকেন্দ্রীকৃত বণ্টিত উৎপাদন (ডিডিজি) ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
আরজিজিভিওয়াইয়ের আওতায় প্রকল্প কার্যকর করার পন্থা ও শর্ত
- টার্ন কি ভিত্তিতে প্রকল্প কার্যকর করার জন্য জেলাভিত্তিক বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তুতি রিপোর্ট তৈরি করা।
- কিছু প্রকল্প কার্যকর করার জন্যবিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় সরকারের মালিকানাধীন সংস্থাকে কাজে লাগানো।
- সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতকে দিয়ে বিদ্যুদয়িত গ্রামকে শংসাপত্র দেওয়া।
- ক্ষতি কমানো ও আরও ভালো গ্রাহক পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে গ্রামীণ বণ্টনের ভার উপযুক্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে দেওয়া।
- আরজিজিভিওয়াই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে দিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করার অঙ্গীকার করতে হবে রাজ্যসরকারগুলিকে।
- প্রয়োজনীয় রাজস্ব ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যগুলিকে।
- ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির জন্য একত্রে সরবরাহজনিত মাসুল (বাল্ক সাপ্লাই টারিফ সংক্ষেপে বিএসটি) এমন ভাবে নির্ণয় করতে হবে যাতে প্রতিটি প্রকল্প বাণিজ্যিক দিক দিয়ে কার্যকর হয়।
- একাদশ যোজনা অনুসারে ত্রিস্তরীয় নজরদারি ব্যবস্থা আবশ্যিক করা হয়েছে।
- অগ্রগতির ওয়েবভিত্তিক নজরদারি।
- আগাম স্থির করা মাইলফলকগুলির সাফল্যের খতিয়ান দেখে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা।
- ঠিকাদার পর্যায় পর্যন্ত ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা।
- রাজ্যসরকারগুলিকে গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের পরিকল্পনা প্রজ্ঞাপিত করতে হবে।
সূত্র : Rajiv Gandhi Grameen Vidyutikaran Yojana website
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/28/2020
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.