রান্নাঘরের বর্জ্য, গ্রামীণ শিল্পজাত বর্জ্য (কৃষিভিত্তিক/খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প), পশু বর্জ্য, জঙ্গলের বর্জ্য ইত্যাদির লভ্যতার উপর নির্ভর করে ক্ষুদ্র ক্ষমতা সম্পন্ন (৩ কিলোওয়াট থেকে ২৫০ কিলোওয়াট) জৈবগ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে উৎসাহ দিতে ২০০৫-০৬ সালে (৬ জানুয়ারি, ২০০৬) নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক এই কর্মসূচি চালু করেছে।
এই কর্মসূচি রূপায়ণ করবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নোডাল দফতর/এজেন্সি/খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন (কেভিআইসি), প্রতিষ্ঠান এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যে কোনও গ্রামীণ এলাকায় বা প্রত্যন্ত গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন কর্মসূচির আওতায় থাকা এলাকায় কোনও গ্রাম স্তরের সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি-উদ্যোগ পারস্পরিক সম্মতিযোগ্য শর্তের ভিত্তিতে ব্যক্তিকে/গোষ্ঠীকে বা গ্রিডে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে এই প্রকল্প হাতে নিতে পারবে। তবে ‘আরবান ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্সিয়াল অ্যাপ্লিকেশন’ (ইউআইসিএ) কর্মসূচির আওতায় থাকা কোনও শিল্প বা বাণিজ্যিক সংগঠন এই কর্মসূচি রূপায়িত করতে পারবে না। এই প্রকল্প স্থাপন করার ব্যাপারে তখনই উৎসাহিত করা হবে যদি প্রকল্প শুরু হওয়ার গোড়া থেকেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রকল্প পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ-সহ কয়েকটি নির্দিষ্ট দায়িত্ব নিতে রাজি হয়। তাকে ডিপিআর (বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট) নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম দশ বছর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য নোডাল এজেন্সির কাছে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে। তারা প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় আর্থিক সহায়তার জন্য তাদের সুপারিশ-সহ মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দেবে।
জৈবগ্যাস-নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার উপকরণ --
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা |
জৈবগাস প্লান্টের ক্ষমতা |
ডিপিআর অনুযায়ী প্রয়োজনীয়তা |
নিম্নলিখিত সিলিং অনুযায়ী সিএফএ/ভর্তুকি বা খরচের ৪০ শতাংশের মধ্যে যেটা কম সেটা প্রদান |
৩-২০ কিলোওয়াট |
২৫ ঘনমিটার থেকে ৮৫ ঘনমিটার |
কোনও ডিপিআর দরকার নেই |
প্রতি কিলোওয়াটে ৪০ হাজার টাকা |
২০-১০০ কিলোওয়াট |
উপরে উল্লিখিত প্লান্টের যে কোনও কম্বিনেশন বা অনুমোদিত বিকল্প ক্ষমতা/নকশা |
ডিপিআর দরকার |
প্রতি কিলোওয়াটে ৩৫ হাজার টাকা |
১০০-২৫০ কিলোওয়াট |
উপরে উল্লিখিত প্লান্টের যে কোনও কম্বিনেশন বা অনুমোদিত বিকল্প ক্ষমতা/নকশা |
ডিপিআর দরকার |
প্রতি কিলোওয়াটে ৩০ হাজার টাকা |
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/22/2020