গাড়ি কিনলে ভর্তুকির রেওয়াজ আগে থাকলেও বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি, তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণ, গবেষণা ইত্যাদির জন্য কোনও উত্সাহ প্রকল্প কার্যত ছিল না। আর সেই কারণেই এই গাড়ির বাজার এ দেশে এখনও সে ভাবে গড়ে ওঠেনি বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি। তাই নতুন (এনইএমএমপি) প্রকল্পে সার্বিক ভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পের সহায়ক পরিবেশ তৈরির উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
এর আগে হোন্ডা, মারুতি সুজুকি ইত্যাদি সংস্থা ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনলেও, মূলত তার চড়া দাম ও গাড়ি চার্জ করানোর পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবসা থেকে সরে গিয়েছিল।
অম্বুজ শর্মা জানান, গোড়ায় চার্জ দেওয়ার মতো পরিকাঠামো গড়তে কেন্দ্র ২০০ কোটি টাকার মতো সহায়তা দেবে। তার পর তৈরির জন্য উত্সাহ দেওয়া হবে যৌথ উদ্যোগে তৈরিতে। উল্লেখ্য, ৬ থেকে ৮ ঘণ্টায় একটি বৈদ্যুতিক গাড়িতে চার্জ দেওয়ার মতো পরিকাঠামো গড়তে সাধারণত ১০–১২ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু দ্রুত চার্জ দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে খরচ কয়েক লক্ষ টাকা।
বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ তাতে ব্যবহৃত লিথিয়াম ব্যাটারির মূল্য বেশি হওয়া। এখন ওই ব্যাটারি-সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয়। কিন্তু আগামী দিনে তা দেশেই তৈরির জন্য গবেষণার কাজে ১,০০০ হাজার কোটি টাকা করে দিয়ে মোট ২,০০০ কোটির তহবিল গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র ও গাড়ি শিল্প মহল। নয়া পরিকল্পনায় ওই প্রস্তাবও স্থান পেয়েছে।
অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া, আইআইটি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গবেষণা হতে পারে। প্রস্তাব আছে যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক কমানোর।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/3/2020