রান্নাঘরের বর্জ্যনির্ভর প্লান্ট
ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের (বার্ক) চত্বরে বিভিন্ন ক্যান্টিনের রান্নাঘর থেকে যে বর্জ্য মেলে তা পরিবেশে সঠিক ভাবে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য করা হয়েছে নার্সারির জায়গা। সেখানেই বসানো হয়েছে রান্নার বর্জ্য নির্ভর জৈবগ্যাস প্লান্ট। এই সব ক্যান্টিনে যে বর্জ্য উৎপন্ন হয় তার সবটাই প্লান্টে কাজে লাগানো যাবে বলে আশা করা যায়।
প্লান্টের বিভিন্ন উপাদান
- কঠিন বর্জ্য গুঁড়ো করার জন্য একটি মিক্সার/পাল্পার (৫ অশ্বশক্তি মোটরের)
- প্রিমিক্স ট্যাঙ্ক
- প্রিডাইজেস্টর ট্যাঙ্ক
- জল গরম করার জন্য সৌর হিটার
- প্রধান ডাইজেশন ট্যাঙ্ক (৩৫ ঘনমিটার)
- সার সংগ্রহের পিট
- উৎপন্ন জৈব গ্যাস কাজে লাগানোর উপযোগী গ্যাস ল্যাম্প
পদ্ধতি
ফেলে দেওয়া দুধ, দুধ জাতীয় খাবার, সবজির অবশিষ্টাংশ, পচা রান্না ও রান্না না করা খাবার, ভেজানো চায়ের পাতা – সব কিছুই এই প্লান্টে প্রক্রিয়ায় কাজে লাগে।
রান্নাঘরের বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
- নারকেলের খোলা, ছোবড়া, ডিমের খোলা, পেঁয়াজের খোসা এবং হাড়ের জন্য একটি আলাদা পাত্র রাখতে হবে। এগুলি জৈবগ্যাস প্লান্টে ব্যবহার করা হয় না।
- ভিজে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য আলাদা একটি পাত্র (৫ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন) রাখতে হবে। যার মধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া বা পচে যাওয়া রান্না, ফেলে দেওয়া দুধ রাখা হবে। বিভিন্ন সবজির কাটা অংশ, পচা আলু, টমেটো, ধনেপাতা ৫ কিলোর ময়লা ফেলার ব্যাগে সংগ্রহ করা যেতে পারে। জৈবগ্যাস প্লান্ট যাতে মসৃণ ভাবে চলে তার জন্য এই পৃথকীকরণ খুবই জরুরি।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.