পশ্চিম ভারতের রাজস্থান রাজ্যের মারোয়াড়ে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ চাষাবাদ ও পশুপালনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এই অঞ্চলটি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম ঘন বসতিপূর্ণ মরুভূমি অঞ্চল। এখানকার গ্রামে জল পাওয়াটা একটা বড় সমস্যা। বহু জায়গায় ১.৬ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোথাও একটিও পানীয় জলের উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না। এক দশকে এখানকার মানুষ ছ’ ছ’বার খরার সম্মুখীন হয়েছে। এই কারণে মারোয়াড়কে যে বন্ধুরতম অঞ্চল বলা হয়, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। এখানে বৃষ্টি হয় খুবই কম, নদীতে সব সময় জল থাকে না। অর্থাৎ নদীতে বছরে মাত্র এক বারই জল বয়। ভূগর্ভস্থ জল নোনতা। সর্বোপরি এখানকার গরম প্রচণ্ড।
২০০৫ সালে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) ইতালিয়ান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করে। যে চুক্তির লক্ষ্য হল এই জল-বিরল অঞ্চলে বসবাসকারী সম্প্রদায়গুলির চরম ভঙ্গুর জীবনযাত্রাকে একটু মসৃণ করা এবং তাঁদের এমন ভাবে সশক্ত করা যাতে তারা নিজেরা নিজেদের পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়, এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী সংগ্রাম শুরু করে।
জল ভাগীরথী ফাউন্ডেশন রাজস্থানের যোধপুর, পালি ও বারমের জেলা ২০০ গ্রামে একটি প্রকল্প রূপায়িত করেছে, যার লক্ষ্য ছিল জল সংক্রান্ত সমস্যায় পড়া তিন লক্ষ মানুষের কাছে সমাধান পৌঁছে দেওয়া। এখানে জল সংরক্ষণের ব্যবস্থার ফলে ভারতের অন্যতম প্রধান তাপদগ্ধ এলাকায় জল ধরে রাখার পরিমাণ ২০ লক্ষ ঘনমিটার বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।
সূত্র: ইউএনডিপি
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019