অনামিকার ইংরিজি পড়তে খুব ভালো লাগে। সে স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। কিন্তু আলোর সমস্যায় পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। “আলো থাকাটা খুবই জরুরি। আলো থাকলে আমার পক্ষে বেশি ক্ষণ পড়াশোনা চালানো সম্ভব হবে। এখানে বিদ্যুতের খুবই অসুবিধা। সম্প্রতি দু’ দিন-তিন ধরে টানা বিদ্যুৎ থাকছে না। যদি বিদ্যুতের আলো থাকত তা হলে রাতে আরও বেশি ক্ষণ পড়ার সুযোগ পেতাম।”--বলে চলে অনামিকা।
উত্তরপ্রদেশে মোট ৪৫৪টি কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় (কেজিবিভি) রয়েছে, যার মধ্যে ৩৭৬টি চালায় রাজ্য সরকার এবং বাকি ৭৮টি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২০০৯ সালে এই কর্মসূচিতে মোট ৩৭ হাজার ছাত্রী নাম নথিভুক্ত করেছিল।
সুইডেনের আইকিয়া (আইকেইএ) কোম্পানির সামাজিক উদ্যোগ গত মাসে স্কুলে সৌরশক্তি চালিত ১০০টি সুন্নন আলো দান করে। প্রতিটি ছাত্রী একটি করে আলো পেয়েছে। তারা তো এই ঝকঝকে উজ্জ্বল সৌর আলো পেয়ে মহাখুশি। মজা করে তারা আলোগুলি প্যাকেট থেকে খুলে জোড়া লাগিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করে নিয়েছে।
‘আগে ছাত্রীরা রাতের সময়টা শুয়েবসে কাটিয়ে দিত। এখন তারা আলো পেয়ে গেছে। পড়াশোনার সময়টা নিজেদের মতো করে বের করে নিচ্ছে। বলে চলেন স্কুলকর্মী কিশোর। তাঁর মন্তব্য, “এটা একটা সম্পূর্ণ গ্রামীণ এলাকা। এখানে মাঝে মাঝে দু’ থেকে চার দিনের জন্য টানা বিদ্যুৎ থাকে না। যে কারণে সৌর আলোগুলি ছাত্রীদের কাছে আশীর্বাদ...আমাদের গ্রামের মেয়েরা খুবই কৌতুহলী। তারা দিনের বেলার মতো রাতেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। ওরা আমাদের স্কুলে আসে। চোখের সামনে বাচ্চাগুলো একটু একটু করে বড় হয়ে উঠছে।”
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019
সুন্নন আলোয় আলোকিত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের গ্রাম। তারই...