টয়লেটে বর্জ্য নিষ্কাশনে জলের পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে সৌরশক্তি। ভারতের বাজারে আসছে জলের খরচ কমাতে পারে এবং সৌরশক্তিতে চলে এমন টয়লেট। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে পিটিআই।
গবেষকেরা দাবি করছেন, এ ধরনের টয়লেট যদি চালু হয়, তা হলে বিশ্বের প্রায় ২৫০ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো বোল্ডারের এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ও এই প্রকল্পের গবেষক কার্ল লিন্ডেন জানিয়েছেন, এই টয়লেটে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি যাতে জলের পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে সৌরশক্তি। টয়লেটে উত্পন্ন তাপ মানুষের শরীরের বর্জ্য পদার্থকে বায়োচারে পরিণত করবে। বায়োচার হল এক ধরনের কয়লা। গবেষকেরা দাবি করেছেন, এই টয়লেট হচ্ছে পরিবেশ-বান্ধব। বর্জ্য থেকে যে বায়োচার তৈরি হবে তা শস্য উৎপাদনে কাজে লাগানো যাবে। এ ছাড়াও বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডও কমিয়ে দিতে পারে এই কয়লা।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ‘রিইনভেন্ট দ্য টয়লেট চ্যালেঞ্জ’ নামক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে এই টয়লেট। এ প্রকল্পের লক্ষ্যই ছিল এমন ধরনের টয়লেট তৈরি করা যার সাহায্যে দূষিত বর্জ্য পদার্থকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায় এবং জলের ব্যবহার কমানো যায়। গবেষকেরা দাবি করেছেন, সৌরশক্তিচালিত এই টয়লেট এক দিনে চার থেকে ছ’ জন মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আরও বেশি মানুষের ব্যবহারযোগ্য টয়লেট তৈরির কথাও ভাবছেন তাঁরা।
টয়লেটে জলের বদলে সৌরশক্তি ব্যবহার করলে মানুষের বর্জ্য দ্রুত মিথেন গ্যাসে পরিণত হবে এবং তা ব্যবহার উপযোগী করে পরে অন্য শক্তির উৎস হিসাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। তবে একটি বা দুটি টয়লেট দিয়ে এ ধরনের কাজ চালানো সম্ভব নয়। এই কারণে টয়লেটগুলির একটি চেইন বা শৃঙ্খল গড়ে তোলা প্রয়োজন যাতে ওই গ্যাসকে কোথাও জমা করা যায়। পরে সেই গ্যাস টারবাইনে পাঠিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা খুবই সম্ভব। তবে ভারতে এ ধরনের প্রকল্প গড়তে গেলে প্রবল জনসচেতনতা দরকার।
সূত্র : প্রথম আলো অনলাইন ডেস্ক, ১৪ মার্চ ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020