গত ৫ জানুয়ারি ২০১৫ দেশের প্রথম ভাসমান সৌরশক্তি কেন্দ্রটি চালু হল কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন অঞ্চলে। এটি গড়ে তোলা হয়েছে ইকোপার্কের কাছে একটি জলাশয়ের ওপর। কেন্দ্রটি দিনে ১০ কিলোওযাট সৌরশক্তি উৎপাদন করবে। প্রকল্পটি যৌথ ভাবে গড়ে তুলেছে সৌরশক্তি বিশেষজ্ঞ ডঃ শান্তিপদ গণচৌধুরী পরিচালিত অর্ক ইগ্নু কমিউনিটি কলেজ অব রিনিউয়েবল এনার্জি এবং নিউটাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। এখানকার উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে আলোকিত হবে ইকোপার্কের এবং তার আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চল।
ভাসমান সৌরশক্তি প্রকল্পটি আসলে হল জলের ওপর ভাসমান কতগুলি সৌর প্যানেল। এর একটি বিরাট সুবিধা হল এই যে সৌরশক্তি উৎপাদনের জন্য জমির প্রয়োজন হয় না। তা ছাড়া এই প্যানেলগুলি জলাশয় থেকে জল বাস্পায়িত হতে দেয় না। সৌর প্যানেলগুলি সব থেকে বেশি কার্যকার হবে ২৫০ থেকে ৩০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। এটি পুরোপুরি চালু হলে বাতাসে কার্বন ডায়োক্সাইড দূষণের পরিমাণ কমে যাবে প্রায় ১৫,০০০ কেজি। তা ছাড়া নিউটাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির বার্ষিক বিদ্যুৎ বিলের অঙ্ক কমে যাবে প্রায় ১ লাখ টাকা ।
এই প্রকল্পের গবেষণার জন্য ওয়েবরেডা (ওয়েস্ট বেঙ্গল রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রীয় নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি দফতর অনুদান দেয় ২০ লাখ টাকা এবং আরও ১৫ লাখ টাকা দেয় সৌর প্যানেল নির্মাণ ও স্থাপনের জন্য। বর্তমানে কেবলমাত্র জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াতে এ ধরনের সৌর প্যানেলের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
এ ধরনের ভাসমান সৌরশক্তি উৎপাদন কেন্দ্রর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর জন্য কোনও জমি অধিগ্রহণ করতে হয় না। সরকারি জলাশয়ে নির্বিঘ্নে এ ধরনের কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব। অনেকে বাড়ির ছাদে এ ধরনের সৌর প্যানেল বসাতে চান।কিন্তু স্থানাভাব সেখানে একটি বড় প্রশ্ন। ছোট বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল উপযুক্তভাবে কাজ করতে পারে না। জলাশয়ের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই।
সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020