কলকাতার বেলঘাটায় তাদের নতুন সেমি অটোমেটিক সৌরশক্তি চালিত ইনভার্টার উৎপাদনের কারখানার উদ্বোধন করল জি পি ট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড। ১৭৮৫ বর্গফুট এলাকার উপর এই কারখানা তৈরিতে ৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুদান হিসাবে পেয়েছে সংস্থাটি। সম্পূর্ণ সৌরশক্তি দ্বারা চালিত এই কারখানায় দৈনিক ৫০ -৬০ লক্ষ সোলার ইনভার্টার তৈরি করবে সংস্থাটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস কে রায়চৌধুরী বলেন, ‘ভারতে এ ধরনের কারখানা এই প্রথম আমরাই তৈরি করেছি।’ অনলাইন সোলার ইউপিএস (ইনভার্টার ) সৌরশক্তি দ্বারা চালিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিয়েল টাইমে ব্যাটারি চার্জ করতে পারে। ‘এর ফলে বিদ্যুতের বিল অনেকটাই কমে যাবে’, বলেন রায়চৌধুরী। ওয়েস্টিং হাউস স্যক্সবি ফার্মার লিমিটেডের কাছ থেকে এই জমি লিজ নিয়েছে জি পি ট্রনিক্স। কারখানায় কম দামের সোলার ইনভার্টার ছাড়াও সোলার হাউস এবং অনলাইন সোলার ইউপিএস, এই তিন ধরনের ইনভার্টার তৈরি করবে সংস্থাটি। লো কস্ট সোলার ইনভার্টার বসাতে খরচ পড়বে ৮,০০০ টাকার মতো। রায়চৌধুরী বলেন, ‘সোলার ইনভার্টার সিস্টেমের তিনটি অংশ - ব্যাটারি, মডিউল ও ইনভার্টার। সরকার প্রতি মেগাওয়াটের দাম ১৭০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে। সেই অনুযায়ী ৫০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুতের যন্ত্রাংশ বসাতে ৮৫,০০০ টাকা লাগবে। সরকারের ৩০ শতাংশ ভর্তুকি বাদ দিলে খরচ দাঁড়াবে ৬১,০০০ টাকার মতো। প্রায়ই লোডশেডিং হলে পাঁচ বছর আর তা না হলে সাত-আট বছর পরে ব্যাটারি বদলাতে হবে।
সৌরশক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা বরাবরই অগ্রগণ্য। পশ্চিমবঙ্গ পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তি নিগম বিভিন্ন জায়গায় সৌরশক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার ফলে সৌরকোষ ও সৌর ব্যাটারির বিক্রি অনেক বেড়ে গিয়েছে। কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কারখানাও স্থাপিত হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে স্থানীয় শিল্প গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের প্রথম কমিউনিটি সোলার চার্জিং স্টেশনও কলকাতার উপকন্ঠে তৈরি হয়েছিল। এই চার্জিং স্টেশনটি বিকল্প সক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে মডেল।
সূত্র : এই সময় ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/2/2020