আমাশয় একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। থানকুনি ও গাদালপাতা আমাশ রোগের পক্ষে উপকারি। থানকুনি পাতার কাই (paste) ও গাঁদালপাতার ক্কাথ (decoction) ও কুর্চি বালকের ক্কাথ গোলমরিচের গুঁড়োর সঙ্গে দিনে ২-৩ বার খাওয়ালে আমাশয় ও রক্ত আমাশয় নিরাময় হয়। আমাশার প্রকোপ তীব্র হলে অনেক সময় বার বার দাস্ত হয়। দাস্তের সঙ্গে কফের মতো থকথকে বস্ত বেরিয়ে আসে। বার বার দাস্ত হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। এর ফলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে। দুর্বলতায় লবণ-চিনি যুক্ত জল পান প্রয়োজন (১ গ্লাস জলে ১ চামচ চিনি ও ১ চিমটে লবণ)। সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস দেওয়া ভালো। থানকুনি পাতার ঔষধি গুণ অনেক। থানকুনি স্মৃতিশক্তি বর্ধক। বৃদ্ধদের স্মৃতিশক্তি ভ্রংশে উপকারী। থানকুনি চর্মরোগ নিবারক।
পাথরকুচি পাতার রস, থানকুনি পাতার ক্কাথ, জোয়ানের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার খাওয়ালে এই রোগের উপশম হয়। আন্ত্রিকেও শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। এ জন্য বার বার তৃষ্ণা পায়। তৃষ্ণা অনুযায়ী লবণ-চিনি যুক্ত জল (ওআরএস) পান করানো কর্তব্য। না হলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়বে।
ঋতু পরিবর্তনের বা অন্য কারণে ঠান্ডা লেগে ক্রমাগত নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি হওয়া সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা এই রোগের লক্ষণ। বাসক ও তুলসী পাতার সর্দি ও কাশির ক্ষেত্রে উপকারি। বাসক পাতার রস, তুলসী পাতার কাই, আদা ও বচের ক্কাথ মধু সহ ১-২ চামচ দিনে ২-৩ বার খেলে এই সমস্যা দূর হয়। ষষ্টিমধুও হাঁচি, কাশির ক্ষেত্রে উপকারি। ধুলো, ধোঁয়া বা অন্য কোনও দূষণের কারণে কাশি হলে, নাক দিয়ে জল পড়তে থাকলে ষষ্টিমধুর শিকড় বা ডাল জলে ধুয়ে চিবিয়ে রস পান করলে এই দূষণের কারণে এলার্জি জনিত সমস্যা দূর হয়।
সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/14/2020