চল্লিশ বছর বয়স হয়ে গেলে আস্তে আস্তে সিগারেট, জর্দা, নস্য, গুড়াকু, প্রভৃতি তামাকজাত নেশা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। এইগুলি শরীরের পক্ষে সত্যি ক্ষতিকর; বিশেষত পেপটিক আলসার, হার্টে ইসকিমিয়া ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস প্রভৃতি রোগীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
যখন আমরা এই সভ্যজগতে একটা কাজ করে এসেই অন্য একটা কাজ করতে যাই, তখন মনের ওপর একটা প্রচণ্ড ধাক্কা লাগে। যেমন অফিস থেকে ফিরেই যদি আসন করতে যাই বা গৃহসমস্যা নিয়ে ব্যাকুল হই বা রান্না করতে যাই তখন দ্বিতীয় কাজটা ভাল হয় না; কারণ মনটা তখনও শান্ত হয়নি। সেই জন্য আজকালকার মনোবিদ বলেন — দু’টো কাজের অন্তর্বতী সময়ে ৫ মিনিট থেকে ১০ মিনিট হোক আমাদের একটু স্থির হয়ে বসে নিতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে বলি — সেই সময়ে অর্থাৎ ৫/১০ মিনিট সুখাসনে বসে একটু শ্বাসের ব্যায়াম করলে সব চেয়ে ভালো হয়। যাঁদের পদ্মাসন খুব অভ্যাস আছে, তারা পদ্মাসনে বসতে পারেন বা চেয়ারে বেশ রিল্যাক্সড হয়ে বসে বা চিত হয়ে শুয়ে শবাসনে শ্বাসের ব্যায়াম (ধীর ও গভীর ভাবে শ্বাস টানা ও ছাড়া) বা দুই ভ্রূর মধ্যে পূর্ণচন্দ্র চিন্তা করতে পারেন। একটা কাজ করার প্রারম্ভে মনটাকে একটু শান্ত করে নিতে পারলে কাজটা সুষ্ঠু ভাবে করা যায়। এটিকে ইংরেজি পরিভাষায় কন্ডিশেনিং বলা হয়।
শিশু বয়স থেকে অভিজ্ঞ যোগ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে যোগ অভ্যাস করলে শিশু বয়সের নানা রোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়। পেটের নানাবিধ রোগ, হজমের সমস্যা, সর্দিকাশি, হাঁপানির সমস্যা, বাড়-বৃদ্ধি, লম্বা হওয়া, মনের চঞ্চলতা ও অস্থিরতা দূর করে মনের স্থিতাবস্থা, ধীরতা আনতে অতুলনীয়। কৃশতা, স্থূলতা রোগে উন্নতি সাধনে যোগের কোনও বিকল্প নেই। মেধা ও বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য যোগাসন এক অনন্য উপায়। সমস্ত ফিজিওলজিক্যাল সিস্টেমকে যথাযথ ক্রিয়া সাধনে সহায়তা করে। ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ কলকব্জা অর্থাৎ ভিসেরা এবং গ্রন্থির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। দেহের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করে এবং লাবণ্য বৃদ্ধি পায়। অফুরন্ত শক্তির অধিকারী হতে সাহায্য করে। শিশুকাল থেকে দেহে ইমিউনিটি, ভাইটালিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক কথায় দেহ ও মনের উন্নতি সাধনের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার।
সূত্র : যোগসন্দর্শন, ডা. দিব্যসুন্দর দাস
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/28/2020
মহিলারা তাঁদের প্রজনন অঙ্গের যত্ন কী ভাবে নেবেন সে...