দুর্বারের মুখ্য উপদেষ্টা স্মরজিত জানা জানান, প্রকল্পের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছ। কয়েক দফা ইতিবাচক আলোচনাও হয়েছে। এখন অপেক্ষা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সুবজ সংকেতের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্থিক সাহায্যে চালানো হবে এই গবেষণা। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাথমিক ভাবে শহরের ১৮০০০ যৌনকর্মীর মধ্যে বাছা হবে এক হাজার যৌনকর্মীকে। বাছাইয়ের প্রাথমিক শর্ত, সেই কর্মীকে এইচআইভি মুক্ত হতে হবে। কোনও নথিভুক্ত মহিলা সংক্রামিত কি না, তা পরীক্ষা করবেন প্রকল্পের গবেষকরা। এর পর তাঁদের বিনামূল্যে পরীক্ষামূলক ভাবে বিশেষ এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধ দেওয়া হবে। ওই ওষুধটি প্রতি দিন খেতে হবে। নথিভুক্ত যৌনকর্মীদের সেই ওষুধ সংগ্রহ করার জন্য বেগ পেতে হবে না। ওষুধ তিনি নিয়মিত খাচ্ছেন কি না, তা সুনিশ্চিত করবেন গবেষকরা। প্রতি ছ’সন্তাহ অন্তর নথিভুক্ত যৌনকর্মীদের রক্ত পরীক্ষা করে সংক্রমণের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হবে। দু’বছর চলবে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় এইডস গবেষণা কেন্দ্র পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এইডস রিসার্চের অধিকর্তা আর আর গঙ্গাখেড়করও দ্রুত এই গবেষণা শুরু করার পক্ষে সওয়াল করেন। নাইসেডের প্রাক্তন অধিকর্তা শেখর চক্রবর্তী, যিনি বিশ্বের প্রথম এইডস টিকার গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তিনিও এই ধরনের গবেষণার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। নাইসেডের প্রাক্তন অধিকর্তার মতে, এই ফলাফল খুব গুরুত্বপূর্ণ৷
এই ফলাফলের ভিত্তিতেই স্থির হবে আগামী দিনে যৌনপল্লিতে এই প্রেপ চিকিত্সা পদ্ধতি দেশে কতটা কার্যকর হচ্ছে।
সূত্র : এই সময়, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/15/2019