অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

সর্দি কাশি ও আরো গুরুতর অসুখ

সর্দি কাশি ও আরো গুরুতর অসুখ

  1. কেন সর্দি কাশি ও আরো গুরুতর অসুখ সম্বন্ধে তথ্য ভাগ করে নেওয়া ও সেই অনুসারে কাজ করা জরুরি৷
  2. সর্দি কাশি ও আরো গুরুতর অসুখ সম্বন্ধে প্রত্যেক পরিবার ও সম্প্রদায়ের যা জানার অধিকার আছে৷
  3. সহায়ক তথ্য
    1. মুখ্য বক্তব্য 1: কাশি বা সর্দিতে আক্রান্ত শিশুকে গরম রাখতে হবে এবং যতটা সম্ভব খেতে ও পানীয় গ্রহণ করতে উত্সাহিত করতে হবে৷
    2. মুখ্য বক্তব্য 2: কখনো কখনো, কাশি ও সর্দি গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে৷ শিশুটি দ্রুত বা কষ্ট করে শ্বাস নিতে থাকলে তার নিউমোনিয়া হয়ে থাকতে পারে, যা একটি ফুসফুসের সংক্রমণজনিত রোগ৷ এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ এবং শিশুটির অবিলম্বে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সা প্রয়োজন৷
    3. মুখ্য বক্তব্য 3: অন্ততঃ প্রথম ছ মাস শিশুদের কেবলমাত্র মাতৃদুগ্ধ পান ও সব শিশুদের সুপুষ্টি এবং পূর্ণ অনাক্রম্যতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করে পরিবারগুলি নিউমোনিয়া রোধে সাহায্য করতে পারে৷
    4. মুখ্য বক্তব্য 4: শিশুর কর্কশ কাশি হলে অবিলম্বে চিকিত্সক দেখানো উচিত ৷ শিশুটির যক্ষ্মা হয়ে থাকতে পারে, যা একটি ফুসফুসের সংক্রমণজনিত রোগ৷
    5. মুখ্য বক্তব্য 5: বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের তামাক বা রান্নার ধোঁয়া লাগলে অত্যন্ত ক্ষতির ঝুঁকি থাকে৷

কেন সর্দি কাশি ও আরো গুরুতর অসুখ সম্বন্ধে তথ্য ভাগ করে নেওয়া ও সেই অনুসারে কাজ করা জরুরি৷

  • কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা ও নাক দিয়ে জল পড়া শিশুদের জীবনের সাধারণ ঘটনা এবং সাধারণতঃ এত চিন্তার কিছু থাকে না৷
  • কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য কাশি ও সর্দি আরো গুরুতর অসুখের বিপদসঙ্কেত হতে পারে যেমন নিউমোনিয়া বা যক্ষ্মা৷ 2000 সালে শ্বাসসংক্রান্ত সংক্রমণে পাঁচ বছরের কম বয়সের প্রায় 20 লক্ষ শিশুর মৃত্যু ঘটেছে৷

সর্দি কাশি ও আরো গুরুতর অসুখ সম্বন্ধে প্রত্যেক পরিবার ও সম্প্রদায়ের যা জানার অধিকার আছে৷

  • কাশি বা সর্দিতে আক্রান্ত শিশুকে গরম রাখতে হবে এবং যতটা সম্ভব খেতে ও পানীয় গ্রহণ করতে উত্সাহিত করতে হবে৷
  • কখনো কখনো, কাশি ও সর্দি গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে৷ শিশুটি দ্রুত বা কষ্ট করে শ্বাস নিতে থাকলে তার নিউমোনিয়া হয়ে থাকতে পারে, যা একটি ফুসফুসের সংক্রমণজনিত রোগ৷ এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ এবং শিশুটির অবিলম্বে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সা প্রয়োজন৷
  • অন্ততঃ প্রথম ছ মাস শিশুদের কেবলমাত্র মাতৃদুগ্ধ পান ও সব শিশুদের সুপুষ্টি এবং পূর্ণ অনাক্রম্যতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করে পরিবারগুলি নিউমোনিয়া রোধে সাহায্য করতে পারে৷
  • শিশুর কর্কশ কাশি হলে অবিলম্বে চিকিত্সক দেখানো উচিত ৷ শিশুটির যক্ষ্মা হয়ে থাকতে পারে, যা একটি ফুসফুসের সংক্রমণজনিত রোগ৷
  • বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের তামাক বা রান্নার ধোঁয়া লাগলে অত্যন্ত ক্ষতির ঝুঁকি থাকে৷

সহায়ক তথ্য

মুখ্য বক্তব্য 1: কাশি বা সর্দিতে আক্রান্ত শিশুকে গরম রাখতে হবে এবং যতটা সম্ভব খেতে ও পানীয় গ্রহণ করতে উত্সাহিত করতে হবে৷

  • খুব ছোটো বাচ্চা ও ছোটো শিশুদের শারীরিক তাপ সহজে হ্রাস হয়৷ কাশি বা সর্দি হলে তাদের ঢাকা দিয়ে ও গরম রাখতে হবে ৷
  • যে সব শিশুর কাশি, সর্দি, নাক দিয়ে জল পড়া বা গলা ব্যথা সত্ত্বেও স্বাভাবিকভাবে শ্বাস গ্রহণ অব্যাহত আছে তাদের বাড়িতেই চিকিত্সা করা চলে এবং তারা ওষুধ ছাড়াই সেরে উঠবে৷ তাদের গরম রাখতে হবে, কিন্তু অতিরিক্ত গরম নয, এবং প্রচুর খাদ্য ও পানীয় দিতে হবে৷ কেবলমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী ব্যবস্থা দিলেই ওষুধ দেওয়া যাবে৷
  • শিশুর জ্বর থাকলে ঠাণ্ডা জলে গা মুছিয়ে বা স্নান করিয়ে দিতে হবে তবে জল যেন কনকনে ঠাণ্ডা না হয়৷ ম্যালেরিয়া প্রবণ অঞ্চলে জ্বর বিপজ্জনক হতে পারে৷ শিশুটিকে অবিলম্বে কোনো স্বাস্থ্যকর্মীকে দেখাতে হবে৷
  • কাশি বা সর্দিতে ভোগা শিশুর নাক ঘন ঘন পরিষ্কার করে দিতে হবে, বিশেষ করে শিশুটি খাওয়ার বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে৷ আর্দ্র পরিবেশে শ্বাস নেওয়া সহজ, এবং শিশুটি যদি একটি গরম তবে ফুটন্ত নয় এমন জল ভরা বাটি থেকে বাষ্প টানে তবে সুবিধা হবে৷
  • বুকের দুধ খায় এমন শিশুর কাশি বা সর্দি হলে খেতে অসুবিধা হতে পারে৷ কিন্তু বুকের দুধ খাওয়ালে অসুখের সঙ্গে লড়তে সাহায্য হয় এবং তা শিশুটির বৃদ্ধির জন্যও জরুরি, তাই মা ঘন ঘন দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাবেন৷ যদি শিশুটি দুধ টানতে না পারে, বুকের দুধ একটি পরিষ্কার কাপে বার করে রাখা যায় এবং শিশুটিকে ঐ কাপ থেকে তারপরে খাওয়ানো যায়৷
  • যে শিশুরা বুকের দুধ খায় না তাদের ঘন ঘন অল্প অল্প করে খেতে উত্সাহিত করা উচিত৷ অসুখ সেরে গেলে, অন্ততঃ এক সপ্তাহ পর্যন্ত শিশুটিকে দৈনিক একটি বাড়তি ভোজন দেওয়া দরকার৷ অসুস্থতা আরম্ভ হবার আগে শিশুর যা ওজন ছিল অন্ততঃ সেই ওজন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত শিশুটিকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলা যাবে না৷
  • কাশি ও সর্দি সহজেই ছড়ায়৷ কাশি ও সর্দি আক্রান্ত ব্যক্তিরা শিশুদের কাছে কাশি, হাঁচি বা থুথু ফেলা এড়িয়ে চলবেন৷

মুখ্য বক্তব্য 2: কখনো কখনো, কাশি ও সর্দি গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে৷ শিশুটি দ্রুত বা কষ্ট করে শ্বাস নিতে থাকলে তার নিউমোনিয়া হয়ে থাকতে পারে, যা একটি ফুসফুসের সংক্রমণজনিত রোগ৷ এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ এবং শিশুটির অবিলম্বে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সা প্রয়োজন৷

অধিকাংশ কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা ও নাক দিয়ে জল পড়ার পর্ব বিনা ওষুধপত্রেই সেরে যায়৷ তবে কখনো কখনো এই অসুখগুলি নিউমোনিয়ার চিহ্ন হতে পারে, যাতে সাধারণতঃ অ্যাণ্টিবায়োটিক দেবার দরকার হয়৷

স্বাস্থ্যকর্মী যদি নিউমোনিয়ার চিকিত্সার জন্য অ্যাণ্টিবায়োটিকের ব্যবস্থা দেন, সেক্ষেত্রে নির্দেশগুলি পালন করা প্রয়োজন এবং যতদিন বলা আছে ততদিনই শিশুটিকে ওষুধগুলি দিতে হবে , শিশুটিকে সুস্থ মনে হলেও৷

অনেক শিশু বাড়িতে নিউমোনিয়ায় মারা যায় কারণ তাদের পরিচর্যাকারীরা অসুখের গুরুত্ব এবং তাত্ক্ষণিক চিকিত্সা সহায়তার প্রয়োজন উপলব্ধি করতে পারেন না৷ নিউমোনিয়া থেক লক্ষ লক্ষ শিশুমৃত্যু রোধ করা যায় যদি:

  • বাবা-মা ও পরিচর্যাকারীরা জানেন যে দ্রুত ও কষ্ট করে নেওয়া শ্বাসপ্রশ্বাস বিপদের সঙ্কেত, যার তাত্ক্ষণিক চিকিত্সা সহায়তার প্রয়োজন ৷
  • বাবা-মা ও পরিচর্যাকারীরা জানেন কোথায় চিকিত্সা সহায়তা পাওয়া যায়৷
  • চিকিত্সা সহায়তা এবং কম-দামী অ্যাণ্টিবায়োটিক সহজেই পাওয়া যায়৷

নিম্নলিখিত লক্ষণগুলির কোনোটি উপস্থিত থাকলে শিশুটিকে অবিলম্বে কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে নিয়ে যেতে হবে:

  • শিশুটি স্বাভাবিকের থেকে বেশি দ্রতগতিতে শ্বাস নিতে থাকে: 2 থেকে 12 মাস বয়সের শিশুর ক্ষেত্রে—প্রতি মিনিটে 50 বা তার বেশি শ্বাস; শিশুটি 12 মাস থেকে 5 বছর বয়সের শিশুর ক্ষেত্রে —প্রতি মিনিটে 40 বা তার বেশি শ্বাস
  • শিশুটি কষ্ট করে শ্বাস নিতে থাকে বা বাতাসের জন্য খাবি খায়
  • শিশুটি নিঃশ্বাস নিলে বুকের তলার দিকটা ভিতরে ঢুকে যায়, বা পেটটা ওঠানামা করছে মনে হয়
  • শিশুটির দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি থাকে
  • শিশুটি বুকের দুধ বা তরল খেতে না পারে
  • শিশুটি প্রায়ই বমি করে৷

মুখ্য বক্তব্য 3: অন্ততঃ প্রথম ছ মাস শিশুদের কেবলমাত্র মাতৃদুগ্ধ পান ও সব শিশুদের সুপুষ্টি এবং পূর্ণ অনাক্রম্যতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করে পরিবারগুলি নিউমোনিয়া রোধে সাহায্য করতে পারে৷

  • বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুদের নিউমোনিয়া ও অন্যান্য অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য হয়৷ শিশুকে জীবনের প্রথম ছ মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো জরুরি৷
  • যে কোনো বয়সেই, ভালো ভাবে খাওয়া দাওয়া করানো শিশুর কঠিন অসুখ বা মৃত্যুর সম্ভাবনা কম৷
  • ভিটামিন এ তীব্র শ্বাসসংক্রান্ত রোগ ও অন্যান্য অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ও তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে সাহায্য করে৷. মাতৃদুগ্ধ, মেটে, লাল পাম তেল, মাছ, দুধ ও দুগ্ধজাত বস্তু, ডিম, কিছু কমলা ও হলুদ ফল ও সবজি, এবং সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন এ পাওয়া যায়৷ স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা ভিটামিন এ পরিপূরকও দেওয়া যেতে পারে৷
  • শিশুটির এক বছর বয়স পূর্ণ হবার আগে সব টিকা দেওয়া শেষ করে ফেলতে হবে৷ তাহলে শিশুটি হাম থেকে সুরক্ষিত থাকবে, যা থেকে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাস সংক্রান্ত রোগ হতে পারে যেমন হুপিং কাশি ও যক্ষ্মা৷

মুখ্য বক্তব্য 4: শিশুর কর্কশ কাশি হলে অবিলম্বে চিকিত্সক দেখানো উচিত ৷ শিশুটির যক্ষ্মা হয়ে থাকতে পারে, যা একটি ফুসফুসের সংক্রমণজনিত রোগ৷

যক্ষ্মা একটি কঠিন রোগ যা শিশুর মৃত্যু ঘটাতে পারে বা ফুসফুসদুটি চিরকালের জন্য জখম করে দিতে পারে৷ পরিবারগুলি যক্ষ্মা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারেন যদি তাঁরা নিশ্চিত করেন যে শিশুদের:

  • সম্পূর্ণ অনাক্রম্যতা (টিকা) দেওয়া হয়েছে— BCG টিকা কয়েক রকম যক্ষ্মা থেকে প্রতিরোধ জোগায়৷
  • যক্ষ্মা বা থুথুতে রক্তযুক্ত কাশি আছে এমন লোক থেকে দূরে রাখা হয়৷

স্বাস্থ্যকর্মী যদি যক্ষ্মার চিকিত্সার জন্য বিশেষ ওষুধের ব্যবস্থা দেন, সেক্ষেত্রে যতদিন বলা আছে ততদিনই শিশুটিকে সব ওষুধগুলি দিতে হবে , শিশুটিকে সুস্থ মনে হলেও৷

মুখ্য বক্তব্য 5: বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের তামাক বা রান্নার ধোঁয়া লাগলে অত্যন্ত ক্ষতির ঝুঁকি থাকে৷

  • ধোঁয়াসঙ্কুল পরিবেশে বাস করলে শিশুদের নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসের সমস্যায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি৷
  • ধোঁয়া শিশুর ক্ষতি করতে পারে, এমন কি জন্মের আগেও৷ গর্ভবতী নারীর ধূমপান করা বা ধোঁয়াতে থাকা উচিত নয় ৷
  • তামাকের ব্যবহার সাধারণতঃ কৈশোর বয়সে শুরু হয় ৷ কিশোরদের আশপাশের প্রাপ্তবয়স্করা যদি ধূমপান করেন, যদি তামাকের বিজ্ঞাপন ও উদ্যোগ সার্বজনীন হয় এবং তামাকজাত পণ্য সস্তা ও সহজলভ্য হয় তাহলে কিশোরবযস্কদের ধূমপান আরম্ভ করার সম্ভাবনা বেশি৷ কিশোরবযস্কদের ধূমপান এড়িয়ে চলতে ও তাদের বন্ধুবান্ধবদের এর অপকার সম্বন্ধে সতর্ক করতে উত্সাহিত করা উচিত৷

সুত্রঃ UNICEF

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate