ডাঃ সুব্রত মৈত্র বলেন, একেবারে প্রাথমিকস্তরে সব তথ্য যাবে না— এটা ধরে নিয়েই আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। যে সব মানুষ জেলায় বা গ্রামে বসে ওয়েবসাইট দেখে তথ্য নিতে পারবেন, তাঁরাও অনেক কিছু জানেন না। যেমন পশ্চিমবঙ্গের অনেক জেলা হাসপাতালে এখন ডায়ালিসিস ইউনিট চালু হয়ে গিয়েছে, তাঁরা খবরও রাখেন না। অধিকাংশ জেলা হাসপাতালেই এখন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট রয়েছে। হার্ট অ্যাটাক হলে এখন আর কলকাতায় আসার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরা এই তথ্য জানি না। বিকাশপিডিয়ার কাজ হবে এই সব স্থানীয় তথ্য তুলে ধরা।
ডাঃ শুভঙ্কর চৌধুরী বলেন, প্রিভেনটিভ কেয়ার সংক্রান্ত ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া দরকার। অর্থাৎ রোগের কারণ চিহ্নিত করে সেগুলিকে কী করেআটকানো যায় সে সম্পর্কিত তথ্য বিকাশপিডিয়ায় দেওয়া উচিত। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিমা সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার দায়িত্বও বিকাশপিডিয়া নিতে পারে।
ডাঃ অশোক ঘোষাল বলেন, রোগ প্রতিরোধ এবং রোগ নিরাময় — এই দু’টি বিষয়ের উপর সমান জোর দেওয়া উচিত। কী করে একেবারে তৃণমূল স্তরের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কী ভাবে কনটেন্ট আপলোড করা যায় বা বিষয় নির্ধারণ করা যায় সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা দরকার। প্রতিটি হাসপাতালেরই ওয়েবসাইট রয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে তা ব্যবহার করতে পারে সে ব্যাপারে সচেতনতা জরুরি।
ডাঃ বাসুদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে মনের সমস্যা প্রচুর। কিন্তু শরীরের সমস্যার সমাধান করতে করতেই আমাদের সব উদ্যোগ চলে যায়। ফলে শরীরের সমস্যার সমাধানে একেবারে প্রাথমিক স্তরের ধারণাগুলি স্পষ্ট করা উচিত। যেমন ক্যান্সার হলে আমরা পাঁচ-সাত লক্ষ টাকা খরচ করতে রাজি থাকি কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে অসংখ্য নিরীহ মানুষ শুধুমাত্র অজ্ঞতার কারণে সাপের কামড়ে মারা যায়। সাপে কাটার ওষুধ অমিল নয়। কিন্তু হয় গ্রামের চিকিৎসকরা ‘রেফার’ করে দেন, নয়তো সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা থাকে না কোথায় গেলে এই ওষুধ পাওয়া যাবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/15/2019